
প্রিন্ট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
অবৈধ জিপিএস ট্র্যাকিং পরিষেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইতোমধ্যে ৩টি কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্লক করা হয়েছে কমপক্ষে ৩৬টি লিংক, আইপি অ্যাড্রেস ও সার্ভার। এতে বিপাকে পড়েছেন কয়েক লাখ জিপিএস ব্যবহারকারী।
অভিযানে লাইসেন্স নেই এমন যানবাহন ট্র্যাকিং পরিষেবা (ভিটিএস) কোম্পানির সার্ভার বন্ধ করে দিচ্ছে বিটিআরসি। সম্প্রতি বিটিআরসি কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগে মটোলক, ট্যাসলক ও সিনোট্র্যাক-এই তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত বছর রাজধানীতে মটোলক জিপিএস ট্র্যাকার, ট্যাসলক জিপিএস ট্র্যাকার, রিমোট এবং ফ্রিকোয়েন্সি ডিভাইস অবৈধভাবে বিক্রি করার অপরাধে র্যাব তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। তখন তাদের এ বিষয়ে সতর্কও করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে বিটিআরসি কমপক্ষে ৩৬টি লিংক, আইপি অ্যাড্রেস ও সার্ভার ব্লক করেছে। এছাড়া সব আইআইজি, আইএসপি এবং টেলিকম অপারেটরকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে অনুমোদন ছাড়া বিপুল পরিমাণ সিমকার্ড ক্রয় করা হয়, এখন এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিটিআরসি।
অবৈধ কোম্পানিগুলোর সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিষেবা গ্রহণকারী হাজার হাজার জিপিএস ব্যবহারকারী অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন ট্যাসলক, মটোলক, সিনোট্র্যাক এবং অন্যান্য অবৈধ অপারেটরের সেবা গ্রহণকারী গ্রাহকরা। এছাড়া দেশে অবৈধ জিপিএস পরিষেবার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি ৪টি ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং পরিষেবা (ভিটিএস) কোম্পানির লাইসেন্সও বাতিল করেছে।
এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যবহারকারীদের অনুমোদিত বা বৈধ ভিটিএস কোম্পানি থেকে অনুরূপ পরিষেবা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এর অন্যতম কারণ হলো, অবৈধ পরিষেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে বিটিআরসির অভিযান অব্যাহত থাকবে; ফলে যে কোনো সময় সেসব অবৈধ অপারেটরের সার্ভার ব্লক হয়ে যেতে পারে।
ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশের (ভিটিএসপিএবি) মুখপাত্ররা বিটিআরসির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করেন সাম্প্রতিক এই অভিযান বৈধ কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করবে এবং গ্রাহকদের অনুমোদিত যানবাহন ট্র্যাকিং পরিষেবা গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করবে।
অবৈধ ভিটিএস কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিটিআরসির অভিযানের প্রশংসা করে বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম বলেন, ‘আমি মনে করি, বিটিআরসির এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি লাইসেন্সধারী বৈধ ভিটিএস ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করবে। এটি দেশের প্রযুক্তি ইকোসিস্টেমে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সরকারের রাজস্ব আহরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যা অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।