Logo
Logo
×

শেষ পাতা

তিন জেলায় বিএনপিতে সংঘর্ষে আহত ২৭

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

তিন জেলায় বিএনপিতে সংঘর্ষে আহত ২৭

দেশের তিন জেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৭ জন আহত হন। তাদের মধ্যে পটুয়াখালীর বাউফলে ১০ জন, রাজশাহীর চারঘাটে ১০ ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৭ জন রয়েছেন। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাজশাহী ও চারঘাট: রাজশাহীর চারঘাটে বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার উপজেলার পাটিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-জাহাঙ্গীর আলম, শাহজাহান আলী, সেলিম হোসেন, নজমুল আলী, পলাশ আলী, শাহু সরদার ও কাজিম উদ্দিন মোল্লা। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পাটিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের সমর্থক হিসাবে পরিচিতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে বিএনপির আরেক নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জলের সমর্থক হিসাবে পরিচিত কাজী গ্রুপের বিরোধ চলছে। সোমবার এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চারঘাট থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।

বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ট্রাক স্ট্যান্ড দখল নিয়ে আবারও বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। রোববার সন্ধ্যায় কালাইয়া ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজমের লোকজন স্ট্যান্ড দখল করে নেয়। দখল হটাতে যুবদল নেতা আরিফ হোসেন দলবল নিয়ে গেলে তাদের ওপর হামলা করে আজমের লোকজন। দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়।

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : উল্লাপাড়ায় সোমবার সরকারি জলমহালের ইজারার শিডিউল কেনা নিয়ে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন-মেহেদী হাসান, জাকিরুল ইসলাম, সেরাজুল ইসলাম, আশরাফুল, সায়েম, জিন্নাহ ও বাকিরুল ইসলাম। তাদের উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজাদ হোসেনের গ্রুপ এবং সাবেক বিএনপিদলীয় সংসদ-সদস্য এম আকবর আলীর গ্রুপের কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে শিডিউল কেনার জন্য আসে। এ নিয়ে বিরোধে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত পুলিশ ও আনসার বাহিনী নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম