Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বাংলা একাডেমি ঘেরাও

পুরস্কার কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের শাস্তি দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পুরস্কার কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের শাস্তি দাবি

বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার, পুরস্কার কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের শাস্তিসহ চার দফা দাবিতে প্রতিষ্ঠানটি ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার দুপুরে ‘বিক্ষুব্ধ কবি-লেখক সমাজ’, ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ ও ‘জুলাই রাজপথ’ নামের তিনটি প্লাটফর্ম এই কর্মসূচি পালন করে। পরে একাডেমির মহাপরিচালকের হাতে দাবিগুলো তুলে দিয়ে মেনে নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দেওয়া হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই বাংলা একাডেমিতে প্রথম আলো গংয়ের মহাপরিচালক রেখে কোনো সংস্কার সম্ভব নয়। কারণ তিনি খুনি হাসিনা ও ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের বিতাড়িত না করে উলটো পুনর্বাসন করছেন। এমনকি তাদের দিয়ে পুরস্কার নির্বাচন ও বাছাই করায় বাংলা একাডেমির সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, ‘কীভাবে একটি বিশেষ মিডিয়ার কর্মী সাজ্জাদ শরীফ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে নোংরা হস্তক্ষেপ চালান? দেশে অনেক বিখ্যাত ও প্রবীণ কবি থাকতে ফ্র্যাংকফুটের বইমেলায় তাকে পাঠানো হয়েছিল কোন যুক্তিতে?’

কর্মসূচিতে কবি মাহবুব হাসান, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, শাহীন রেজা, আবিদ আজম, সামসুদ্দিন হিরা, ফারুক হোসেন খান, রাসেল আহমেদ, পলিয়ার ওয়াহিদ, সৈয়দ রনো, শাকিল মাহমুদ, মঈন মুনতাসীর, নাট্যকার হুসনী মোবারক, লেখক-প্রকাশক মোরশেদ আলম হৃদয় প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মাহবুব হাসান বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদের দালালি করে এসেছেন তাদেরকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নাটকের ব্যক্তিকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের পুরস্কার স্থগিত করা হয়েছে। আমরা চাই তাদের পুরস্কার বাতিল করা হোক।’

আবিদ আজম বলেন, ‘অবিলম্বে বাংলা একাডেমির পুরস্কার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।’

শামস মুসা বলেন, ‘বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম ছাত্র জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

পলিয়ার ওয়াহিদ বলেন, ‘জাতির মননের প্রতীক বাংলা একাডেমি পুরস্কারকে কলঙ্কিত করেছেন প্রথম আলোর সাজ্জাদ শরীফ। সরকারকে বিব্রত করতে তিনি পুরস্কার কমিটিতে নোংরা হস্তক্ষেপ করেছেন। এমন কি নিজের বন্ধু ও ভাইকে পুরস্কার পাইয়ে দিয়েছেন।’

যেসব দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয় সেগুলো হলো- বাংলা একাডেমি থেকে ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের অপসারণ করতে হবে; একাডেমির নির্বাহী পরিষদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে; পুরস্কার বিতর্কিত করায় সাজ্জাদ শরীফকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং নতুন মনোনয়ন, প্রস্তাবনা ও বাছাই কমিটিতে জুলাই স্পিরিটের কবি-লেখকদের রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পুরস্কার প্রাপ্তদের নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়।

পুরস্কার পাওয়ার তালিকায় কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে ছিলেন-কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্য-সাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হান্নান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম