Logo
Logo
×

শেষ পাতা

রোড সেফটি সভা শেষে সড়ক উপদেষ্টা

উন্নতি না হলে বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে

ড্রাইভিং লাইসেন্সে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উন্নতি না হলে বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে

অবস্থার উন্নতি করতে না পারলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’কে বন্ধের কথা চিন্তা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার বিআরটিএ ভবন পরিদর্শন ও কনফারেন্স রুমে রোড সেফটি বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, সম্প্রতি রোড সেফটি ফাউন্ডেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২৯৪ জন নিহত ও ১২ হাজার জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর দায় নিচ্ছি। আমরা স্বীকার করছি যে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে পারিনি। বরং এটি বেড়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, জীবনের কোনো মূল্য হয় না। কিন্তু অপরাধ স্বীকারের অংশ হিসাবে আমরা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি। ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বিআরটিএর কর্মকর্তাদের পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য যদি কোনো সড়কের ত্রুটি দায়ী হয়, তবে সওজের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি দেখা যায় বাস চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, গাড়ির ফিটনেস সনদ নেই, তবে সেক্ষেত্রে দায় বর্তাবে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের ওপর। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব মৃত্যুর দায় যাদের ওপর আসবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের গাফিলতি থাকলে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে বলে জানান তিনি?

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর সারা দেশে সড়কে ৭ হাজার ২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন, যা ২০২৩ সালের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি।

বিআরটিএর কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, জনগণকে সরাসরি সেবা দেয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান ৫ আগস্টের পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিআরটিএর কিছু কাজে অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু সেটা আশানুরূপ নয়। বিআরটিএ যদি তাদের কার্যক্রমে গতি না আনে, তবে এ প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে বিআরটিএকে নিয়মিত মনিটরিংয়ে রাখব।

সভায় জানানো হয়, সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স অপেক্ষমাণ রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে সেগুলো দেওয়া হবে। ফাওজুল কবির খান বলেন, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাজ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ পাওয়ার সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি তা দ্রুত কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ নির্ধারিত সময়ে নবায়ন না করলে তা বাতিল ঘোষণা করা হবে। মোটরসাইকেল চালকদের শিক্ষানবিশ সনদের মেয়াদ এক মাস। এক মাস তা নবায়ন না করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেসের বিষয়ে কী কী করতে হবে, কে করবে, কীভাবে করবে, কত দিনের মধ্যে করবে, সেটি করতে কী কী প্রয়োজন হবে সেটার একটি ম্যাট্রিক্স আমরা দাঁড় করিয়েছি। সেটা আমরা মনিটরিং করব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম