সংখ্যালঘু হামলার অভিযোগ নিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন
বেশির ভাগ হামলাই রাজনৈতিক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত ৪ আগস্টের পর সাম্প্রদায়িক হামলা বলে দাবি করা ঘটনার মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক এবং ২০টি সাম্প্রদায়িক ছিল। কমপক্ষে ১৬১টি দাবি মিথ্যা বা অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রমণগুলো সাম্প্রদায়িকভাবে অনুপ্রাণিত ছিল না, বরং রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল। সাম্প্রদায়িক হামলা ও দাবির বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ৭৬৯টি পরিবারের ওপর সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। ঐক্য পরিষদের এ অভিযোগের তালিকা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। পরে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লিখিত সব স্থান, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পরিষদের ১ হাজার ৭৬৯টি অভিযোগের দাবির গুরুত্বের ভিত্তিতে পুলিশ এ পর্যন্ত ৬২টি মামলা করেছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩৫ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে তারা তথ্য পেয়েছে যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রমণগুলো সাম্প্রদায়িকভাবে অনুপ্রাণিত ছিল না, বরং রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল। প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ঐক্য পরিষদের দাবির বাইরে পুলিশ ৫ আগস্ট থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ১৩৪টি অভিযোগ পেয়েছে। পুলিশ এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আরও ৫৩টি মামলা করেছে। এসব মামলায় আরও ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ আগস্ট থেকে সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগের ভিত্তিতে ১১৫টি মামলা হয়েছে এবং এসব মামলার ভিত্তিতে অন্তত ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যে কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য ইতোমধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষের ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ নিতে পুলিশ ইতোমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।