ব্যাংক হিসাবে ৩১৬২ কোটি টাকা লেনদেন
নিক্সন চৌধুরী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন এবং তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে তিন হাজার ১৬২ কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সাড়ে ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) (৩) ধারায় মামলা দুটি করা হয়েছে। এর আগে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ অক্টোবর নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
প্রথম মামলার আসামি নিক্সন চৌধুরী। আর বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান। এই মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, নিক্সন চৌধুরী সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়া নিজের এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামের ৫৫টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট এক হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। যার মাধ্যমে মূলত অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
আর দ্বিতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে স্ত্রী তারিন হোসেনকে। যেখানে স্বামী মজিবুর রহমান চৌধুরীকে (নিক্সন চৌধুরী) সহযোগী আসামি করা হয়েছে। এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তারিন হোসেন তার স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৮ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নিজের ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামের ১৭টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট এক হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আড়াল করতে ওই হিসাবগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শিহাব সালাম।