জেইসি বৈঠক শিগগিরই
জ্বালানি, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক: বাণিজ্য উপদেষ্টা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
তুরস্ক আমাদের জ্বালানি, শিল্প, অবকাঠামো ও সামরিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. প্রফেসর ওমর বোলাটের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তুরস্কের সঙ্গে শিগগিরই জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে খাদ্য থেকে শিল্প, স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানা ও বিনিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, তুরস্কের একটি বড় টিম আজ এসেছিল। খাদ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানা, ফার্মাসিটিক্যালস, টেক্সটাইল, গার্মেন্ট শিল্প কারখানা, রপ্তানি, বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেছে। আমাদের একটি জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন আছে। তাদের সঙ্গে ওই কমিশনের বৈঠক এ বছরই হওয়ার সময় নির্ধারণ করা আছে। সেটি আমরা অতি দ্রুত করতে চাই।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা তুরস্কে রপ্তানি করি ৫০০ মিলিয়ন ডলার, আর আমদানি করি ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। গত বছর তুরস্কে রপ্তানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তুরস্ক ও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ২৭ কোটির মতো। জনসংখ্যার ভিত্তিতে আমাদের এই বাণিজ্যটা যথেষ্ট বলে মনে করি না। সেটা আরও বহুগুণ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাগুলো অর্জন করার জন্য খাতগুলোকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করেছি। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে ফাংশনাল স্ট্যাজিগুলো তৈরি করব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ আছে। এ পর্যন্ত তারা ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ করেছে। তারা এলপিজি, সিঙ্গার, কোককোলা, সেবাখাতসহ উৎপাদনশীল খাতেও বিনিয়োগ করেছে।
সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তারা জানিয়েছেন তাদের সামরিক রপ্তানি প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের, তারা উপযুক্ত এবং যুতসই সামরিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। তারা এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরাও এ বিষয়ে আগ্রহী।
তুরস্ক কি আর্মস রপ্তানি করতে চায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আর্মসও রপ্তানি করতে চায়। কিন্তু আমরা শুধু বাণিজ্য আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে বিস্তারিত আসবে।