বাগেরহাট সদরের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। মোল্লা মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ রুহুল আমীন গ্রুপের মধ্যে বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফা এ সংঘর্ষ হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় রুহুল আমীনসহ তার ৮ ভাইয়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।

হামলায় উভয় পক্ষের গুরুতর আহতদের মধ্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শেখ সায়েল উদ্দিন, লিটন শেখ, মামুন মোল্লা, কেরামত আলী, রোজিনা বেগম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাহমুদ মোল্লাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য শেখ রুহুল আমীন জানান, বুধবার দুপুরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন তালিমের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি ফেরার পথে কুলিয়াদাইড় গ্রামের ভিআইপি মোড়ে পৌঁছলে প্রতিপক্ষ মোল্লা মোস্তাফিজের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার পক্ষের কয়েকজন আহত হয়।

অপরদিকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোল্লা মোস্তাফিজ গ্রুপের নেতা মাসুম মোল্লা জানান, তাদের গ্রুপের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে আসার পথে শেখ রুহুল আমীন গ্রুপের লোকজন বিকালে তাদের ওপর আবার হামলা চালায়। এতে আমাদের গ্রুপের ৫ জন আহত হয়। এ ঘটনার জেরে কুলিয়াদাইড় গ্রামে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময়ে শেখ রুহুল আমীনসহ তাদের ৮ ভাইয়ের বাড়িঘরে অগিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয় নারীসহ আরও ১৫ জন।

বাগেরহাট সদর থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।