ছাতকে ব্যবসায়ী হত্যার আসামিরা ৪ মাসেও গ্রেফতার হয়নি
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![ছাতকে ব্যবসায়ী হত্যার আসামিরা ৪ মাসেও গ্রেফতার হয়নি](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/01/04/sunamganj-66f43e4ec23ad-674c8b90bfdc2-6778549fd4b3d.jpg)
ফাইল ছবি
ছাতকে ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান হত্যা মামলার আসামিদের ৪ মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। লন্ডন বিএনপি শাখার নেতার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ঘটনায় দেশ-বিদেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার লন্ডন বিএনপি নেতা তাজউদ্দিন ওরফে সারওয়ার আহমেদের বিরুদ্ধে নিহতের স্ত্রীর রানু বেগমের লিখিত অভিযোগ গায়েব করেছে পুলিশ। জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুইদিন পর এক মুদি ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি লাশ ১০ সেপ্টেম্বর উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়নের মহদী গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। জিয়াউর রহমান ওই গ্রামের মৃত আলমাস আলী ওরফে ময়নার ছেলে।
জানা যায়, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও নিহতের ভাতিজা সিংচাপইর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেল ও একই গ্রামের লন্ডন বিএনপি নেতা তাজ উদ্দিন ওরফে সারওয়ার আহমদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীঘদিন ধরেই বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরেই বিএনপি নেতার নির্দেশে জিয়াউর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর রাজু ও লন্ডন বিএনপি নেতা তাজ উদ্দিন ওরফে সারওয়ার আহমদের আপন চাচাতো ভাই মইন উদ্দিনসহ দুজনকে পুলিশ আটক করে। সাবেক পরিদর্শক (ইনচার্জ) আকরাম হোসেন লন্ডন বিএনপি নেতা তাজ উদ্দিন ওরফে সারওয়ার আহমদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের বখরা নিয়ে জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে আসামি দুজনকে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী রানু বেগমকে বাদী হয়ে লন্ডন বিএনপির নেতা তাজ উদ্দিন ওরফে সারওয়ার আহমদকে প্রধান আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার লিখিত অভিযোগের ঘটনায় পুলিশ থানায় মামলা গ্রহণ করেনি। পরে নিহতের ভাই তাজ উদিন বুদুকে দিয়ে হত্যা মামলার বাদী বানিয়ে বিএনপি নেতার নাম বাদ দিয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যার মামলা রুজু করে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী রানু বেগম এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লন্ডন বিএনপি নেতা তাজ উদ্দিন ওরফে সারওয়ার আহমদের সঙ্গে তার স্বামীর বিরোধ আছে। এ বিরোধের জের ধরেই জয়নাল, রাজু, গৌছ ও মইনউদ্দিনের নেতৃত্বে তার স্বামীকে তারা পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করা হয়নি। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন খাতে নিতে দুই মাসে লন্ডন থেকে বিএনপি নেতা তাজ উদ্দিন ওরফে সারওয়ার আহমেদ তিনবার বাংলাদেশে এসেছে। এ ব্যাপারে জাউয়া বাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ওসি আব্দুল কবির বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাবে না। তবে নতুন বছরে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।