রেললাইনের দুপাশে বসে কসমেটিক্স পণ্য, হরেক রকম পুরাতন কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল থেকে শুরু করে ফলমূল, কি না পাওয়া যায় এই রেললাইনে। বলছিলাম শ্যামপুর রেললাইনের কথা। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই শ্যামপুরের জুরাইন রেলগেট থেকে শুরু করে শ্যামপুর বড়ইতলা পর্যন্ত এখন হকারদের দখলে।

শ্যামপুরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নারায়ণগঞ্জের ট্রেন চলাচলের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে এ অঞ্চলে বসছে নিয়মিত নানা সওদার বাজার। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এই বাজারে ভিড় করছেন কয়েকশ নারী-পুরুষ। এতে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বহুবার এ মার্কেট উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অজানা কারণে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে রেললাইন।

রোববার সরেজমিন দেখা যায়, রেলপথের ওপরে ত্রিপল কাপড় বিছিয়ে, আবার কেউ স্ট্যান্ডে কাপড় ঝুলিয়ে বেচাবিক্রি করছেন হকাররা। জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ট্রেন আসার টাইম আমাদের জানা। তাই আসার আগেই সতর্ক হই। সব নিয়ে লাইনের সাইডে দাঁড়াই। এখানে বসা সব দোকানদারদের একই কথা। পুরাতন কাপড় বিক্রেতা বলেন, রেললাইনের ওপর দোকান বসানো ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও অনেকে দোকান করছেন। তাই আমিও করছি। স্থানীয় প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে।

বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ বলেন, আগে জানা ছিল না বিষয়টি। এখন জানলাম। উচ্ছেদের জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হবে।