জোবায়ের-সাদ দ্বন্দ্ব
কাকরাইল মসজিদ ঘিরে উত্তেজনা, সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে চলমান বিবাদের জেরে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের আশপাশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার সকাল থেকেই মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা মসজিদে শক্ত অবস্থান নিয়ে মাওলানা সাদের অনুসারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার সকাল থেকে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে বিপুলসংখ্যক আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থান নেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মসজিদের আশপাশে সরেজমিন দেখা গেছে, স্থানীয় মুসল্লি ও মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা অবস্থান নিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মসজিদের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। গেটে অবস্থান নেওয়া সমর্থকরা বলতে থাকেন, ভেতরে নামাজের জায়গা নেই। আশপাশের অন্য মসজিদে নামাজ পড়ে আসেন। এ সময় অনেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিলে মূল সড়কের অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে দুপুর ১টার দিকে তাদের একে একে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। মসজিদের গেটের ভেতর থাকা মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের অনুসারীরা জানান, তারা মাওলানা সাদের অনুসারীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেবেন না।
রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম যুগান্তরকে বলেন, কাকরাইল মসজিদে গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে একটি রেওয়াজ ছিল ৪ সপ্তাহ থাকবে মাওলানা জোবায়েরপন্থি, এর পরের ২ সপ্তাহ থাকবে সাদপন্থি। পরিস্থিতি যখন খারাপের দিকে গেল, তখন মন্ত্রণালয় থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে এখন থেকে এই মসজিদকেন্দ্রিক কাউকে ঝামেলা করতে দেওয়া হবে না। সাধারণ মুসল্লি যারা আছেন, তারা সচরাচর যেভাবে নামাজ পড়েন সেভাবে পড়বেন।
তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের জন্য একটি টেস্ট কেস ছিল। সকাল থেকেই আমরা ভালো ভাবে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের পর্যাপ্ত সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা সাদপন্থি কেউ আসেননি। পরিস্থিতি ভালো ছিল। সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে নামাজ পড়েছেন। এখনো পরিস্থিতি ভালো আছে। সাধারণ মানুষ চান, ধর্মকে কেন্দ্র করে যেন ঝামেলা না হয়।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৬ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়-২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের অনুসারীদের কোনো রকমের বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকতে এবং একই তারিখ থেকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদেরও কাকরাইল মসজিদে শবগুজারিসহ (রাত্রিযাপন) সব তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম হতে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।