Logo
Logo
×

শেষ পাতা

চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঢাকায় ছিনতাই বেড়েছে উল্লেখ করে রাস্তাঘাটে বের হলে সবাইকে সচেতন হয়ে চলাচলের আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার। ফুটপাতে হকারদের বিষয়ে তিনি বলেন, হকারদের একবারে উচ্ছেদ করে দেওয়া অমানবিক। তবে হকাররা যেন সংযত অবস্থায় রাস্তায় থাকে এজন্য তাদের প্রতি অনুরোধ করা হলো। হকারদের কাছ থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া যাবে না।

ঢাকা শহরে ট্রাফিক একটি বড় মাথাব্যথার কারণ উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্যাডেলচালিত রিকশার সাইজ ছোট, কিন্তু অটোরিকশার সাইজ বড়। অটোরিকশা যে দ্রুতগতিতে বাড়ছে অচিরেই বন্ধ করা না গেলে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। ঘর থেকে বের হলেই দেখবেন অটোরিকশার জ্যাম লেগে গেছে আর কোনো জায়গা নেই। সবাই এখন অটোরিকশার ব্যবসায় ঝুঁকছেন। ৮০-৯০ হাজার টাকায় কিনে প্রতিদিন লাভ পাচ্ছেন। সবাই অটোরিকশার পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, সরকারকে বলেছি, অটোরিকশা সীমিত করে আনতে। অর্থাৎ একটি শহরে কতটি অটোরিকশা চলবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। অটোরিকশাকে লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। জনগণের টাকার রাস্তা ব্যবহার করবেন অথচ ট্যাক্স দেবেন না? এটা বিশ্বের কোথাও নেই। অটোরিকশাগুলো বিদ্যুৎও ব্যবহার করছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন চলাচল করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসব। যারা রাস্তা ব্যবহার করবেন, অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, যানজটের মধ্যে গাড়িচালকরা অনবরত হর্ন বাজাতে থাকেন। কিন্তু যানজটের মধ্যে হর্ন বাজালে সমাধান কী? যারা বারবার হর্ন বাজাবে তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মোবাইল ফোন ছিনতাই বেড়েছে। সচেতন হয়ে চলাচল করতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ২৫ শতাংশ রাস্তাঘাট থাকার কথা, আছে মাত্র ৭ শতাংশ। ফলে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। গত এক মাসে আমরা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সাধারণ জনগণের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। তবে এর জন্য বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত নয়। মতবিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনার টেবিলে সমাধান করা উচিত। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে করা উচিত। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট, বালু যত্রতত্র রাস্তায় রেখে সাধারণ পথচারীর সমস্যা তৈরি না করার জন্য সবা প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও রমনা থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকরা তাদের পরামর্শ তুলে ধরেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম