ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ সময় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপ উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালে শনিবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, আজ ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণের বিভাগগুলোতে বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কমবে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আফরোজা সুলতানা আরও বলেন, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপ আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এক্ষেত্রে দৃষ্টিসীমা ৫০০ থেকে ১ হাজার মিটারের মধ্যে চলে আসবে।
ভোলা প্রতিনিধি জানান, নিম্নচাপের কারণে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। শনিবার ভোররাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। ঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় ভোলার ইলিশা-ঢাকা, ইলিশা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী লঞ্চ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দুপুরের পর থেক শীত পড়তে শুরু করে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, শীতের মধ্যেও বাগেরহাটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলায় ১.২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে শীতের প্রকোপও বেড়েছে।
টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে যাচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার কোথাও সূর্য্যরে মুখ পর্যন্ত দেখা যায়নি। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।