Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বিদেশে চিকিৎসায় বছরে খরচ ৫ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিদেশে চিকিৎসায় বছরে খরচ ৫ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক গন্তব্য ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশিরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেন। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

পিআরআই’র চেয়াম্যান ড. জাইদী সাত্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পিআরআই’র রিসার্চ ডিরেক্টর ড. বজলুল হক খন্দকার, বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা মিসেস নন্দিনী পারেখ, পিআরআই’র অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের যুগ্ম পরিচালক মহিবুল ইসলাম, জাতীয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ড. সুব্রত পল ও ব্র্যাক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাব্বির হোসেন।

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশিদের বিদেশে চিকিৎসা বাবদ খরচের একটি বড় অংশ অনানুষ্ঠানিকভাবে হয়। এতে দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বা বৈদেশিক লেনদেনের ওপর যথেষ্ট চাপ তৈরি হয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি আইনি কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে জোর দেন তিনি।

গভর্নর বলেন, দেশে ১৮ কোটি মানুষ। প্রতিনিয়ত তাদের বিভিন্ন তথ্য তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এসব সংরক্ষণ হচ্ছে না। বর্তমানে তথ্য অনেক দামি সম্পদ। এটি তেল-গ্যাসের খনির চেয়েও দামি। তাই জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার তৈরি করতে হবে। তথ্যের খনি কাজে লাগাতে হবে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে একা এটি করা সম্ভন নয়। ব্যাংকগুলোকে এখন তিন জায়গায় তথ্য সংরক্ষণ করতে হয়, এটি ব্যয়বহুল, কঠিন ও অনিরাপদ। নিজে থেকে কোনো ব্যাংকের ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। এটা ব্যাংকের ব্যবসায়িক পলিসির মধ্যেও পড়ে না। তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধ করতে পারলে অনেক উন্নতি করতে পারব।

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তিগতভাবে ডাটাসিস্টেম প্রতিষ্ঠা করছে। কেউ কাউকে তথ্য দিতে চায় না। জাতীয় তথ্যভান্ডার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ সংক্রান্ত ভালো পলিসি নেই। পিআরআই ও বিশ্বব্যাংক যে গবেষণা করছে তাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে। নীতিনির্ধারক ও সরকারি বেসরকারি সব বিভাগকে সম্পৃক্ত করতে হবে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক না থাকায় তথ্য পাচার হচ্ছে। কিছু তথ্য বেচাকেনা হচ্ছে। যদি নিয়ন্ত্রক থাকে তাহলে সঠিক উপায়ে বেচাকেনা হবে। অন্যথায় বিপজ্জনক খাতে বেচাকেনা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম