Logo
Logo
×

শেষ পাতা

দাম বৃদ্ধির কথা সবাই বলেন, কমার কথা বলেন না: অর্থ উপদেষ্টা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দাম বৃদ্ধির কথা সবাই বলেন, কমার কথা বলেন না: অর্থ উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জানুয়ারি মাসে সব শ্রেণির নতুন পাঠ্যপুস্তক দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তবে দ্রুত মুদ্রণের চেষ্টা চলছে। বুধবার ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাঠ্যবইয়ের মুদ্রণ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে হয়তো সবগুলো করে ফেলা যাবে না।

সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে এজেন্ডার বাইরে নয়টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে-১৩ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল ও রাসায়নিক সার কেনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের বই ছাপানোর প্রস্তাব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন বলেন, বাজারে আলুর দাম বাড়লেও অন্য পণ্যের মূল্য সাশ্রয়ী হয়েছে। দাম বাড়ার বিষয়টি সবাই বলেন, কিন্তু কমার কথা কেউ বলেন না। তবে বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম কমানো সম্ভব নয়। বাজারে একটি পণ্যের দাম কমলে আরেকটির বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক।

জানা গেছে, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পাম অয়েল কেনা হবে। এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লি. থেকে তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিনের মূল্য হবে ১৪০ টাকা এবং পাম অয়েল ১৩০ টাকা। এছাড়া নাবিল নবা ফুড লি. থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৯৬ কোটি টাকা। প্রতিকেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা ৯৭ পয়সা।

শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে নবম ও দশম শ্রেণি এবং ইবতেদায়ির (চতুর্থ ও পঞ্চম) ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৪টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার কোটি টাকা।

সভায় পৃথক প্রস্তাবে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক বাংলা ভার্সনের জন্য এক কোটি ১০ হাজার ৯৮১টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ২২ হাজার ৫৭৯ টাকা।

বৈঠকে ২০২৫ সালের জন্য ৭ লাখ মেট্রিক টন অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রড (এএলসি) গ্রেডের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে তা আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ২৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।

পাশাপাশি সিঙ্গাপুর থেকে ৭০৮ কোটি টাকায় এক কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৭০৮ কোটি টাকা। বৈঠকে সৌদি আরব, রাশিয়া ও মরক্কো থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৬১ কোটি টাকা। এছাড়া রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ সোনাগাজী ও মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করবে। এ লক্ষ্যে ৬৩০ কোটি ২১ হাজার ২৭৮ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুনামগঞ্জের হাওড় এলাকায় উড়ালসড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের ক্রয় প্রস্তাব পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম