ঠান্ডা ও ধুলোবালি থেকে সতর্ক থাকতে হবে
অধ্যাপক ডা. মো. মাজহারুল শাহীন
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এ সময় পরিবেশে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে অর্থাৎ ঠান্ডা পড়ছে। একসঙ্গে বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতাও কমে যাচ্ছে এবং ধুলাবালি বাড়ছে। ঠান্ডার এ সময় প্রধানত তিনটি কারণে শীতজনিত অসুখবিসুখের প্রকোপ বাড়ে। প্রথমটি হচ্ছে শীত নিজেই ঠান্ডাজনিত রোগের সৃষ্টি করে। দ্বিতীয়ত, পরিবেশের বিদ্যমান পরাগরেণু ও ধুলো-ধোঁয়া করে বিভিন্ন অ্যালার্জিজনিত রোগ হয় এবং তৃতীয়টি হচ্ছে শীতে কিছু কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে।
আমাদের শরীরের হেমোস্ট্যাসিস সিস্টেম অর্থাৎ শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার সিস্টেম তাপমাত্রার হঠাৎ এ পরিবর্তনে চট করে মানিয়ে নিতে পারে না। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা এজন্য স্বাস্থ্যজনিত এসব সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, অর্থাৎ ইমিউনো সাপ্রেসিড যারা, তারাও অসুখে বেশি আক্রান্ত হন।
আমাদের শরীরের কোষের পাতলা ঝিল্লি মিউকোমাতে ভাইরাস সহজেই সংক্রমণ সৃষ্টি করে রোগ সৃষ্টি করে। এ আবরণী ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যাকটেরিয়াও সহজে শরীরে ঢুকে পড়ে আমাদের রোগাক্রান্ত করে। সামান্য সর্দি, হাঁচি, নাক বন্ধ, কাশি থেকে সমস্যা সৃষ্টি করে। জটিলতাস্বরূপ সাইনোসাইটিস এমনকি প্রাণঘাতী নিউমোনিয়াও কারও কারও হয়ে থাকে। এজন্য যাদের অ্যালার্জি আছে, তারা এ সময় মাস্ক পরবেন। ঠান্ডার সময় গরম জামাকাপড় পরিধান করবেন এবং জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ও সর্দি-হাঁচি-কাশির জন্য অ্যান্টিহিস্টাসিন খেতে পারেন। তবে শিশু ও বয়স্কদের এ সমস্যা হলে মেডিসিন বা নাক-কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অধ্যাপক ডা. মো. মাজহারুল শাহীন অধ্যক্ষ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং নাক-কান-গলা রোগ বিভাগ