চিন্ময় দাসকে প্রধান করে ১৬৪ জনের নামে মামলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালতে দাখিল করা আবেদনে আসামির তালিকায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৬৪ জনের নাম আছে। এতে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রোববার বিকালে চট্টগ্রাম প্রথম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালতে এ মামলা করেন এনামুল হক নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী জমির উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, মামলার বাদী একজন ব্যবসায়ী। তিনি ২৬ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার সময় মারধরের শিকার হন। দাড়ি-টুপি থাকায় চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা তাকে মেরে ডান হাত ভেঙে দিয়েছে। এছাড়া তার মাথায় কিরিচ দিয়ে কোপ দিয়েছে চিন্ময়ের অনুসারীরা। এ ঘটনায় চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শুনানি শেষে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাদী এনামুল হক বলেন, ‘ঘটনার দিনে ব্যক্তিগত কাজে আদালত প্রাঙ্গণে আসি। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ইসকন ও চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় ইসকনের অনুসারীরা ‘মোল্লা মোল্লা’ বলে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে আঘাত করে। চিন্ময় এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে তাকে প্রধান আসামি করেছি।’ এতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান বাদী।
২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল ইসলাম। সেদিন তাকে বহন করা প্রিজনভ্যান দুপুর ১২টা থেকে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখে তার অনুসারীরা। এ সময় চিন্ময় অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সাংবাদিকদের অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এর প্রতিবাদ করলে আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় চিন্ময় অনুসারীরা। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সাইফুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এর আগে মামলা করেন।