হীন উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে মামলায় জড়ানো হয়: কায়সার কামাল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য তারেক রহমানকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পৃক্ত করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, গত দুই দশকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে মামলাটা সবচেয়ে বেশি প্রোপাগান্ডার শিকার হয়েছিল সেটা হচ্ছে কুখ্যাত একুশে আগস্ট মামলা। আমরা সব সময় বলে আসছি, তারেক রহমান এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে না পেরে মামলার আশ্রয় নিয়েছেন। তারেক রহমানের ইমেজকে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ট্রায়ালটা কন্টিনিউ করেছেন। আজ সব আসামি খালাস পেয়েছেন। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। এ রায়ের মাধ্যমে তারেক রহমান ন্যায়বিচার পেয়েছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা মামলা আইনগতভাবে মোকাবিলার মাধ্যমে তারেক রহমান বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
তিনি বলেন, গত দুই দশক একুশে আগস্টের মামলা বাংলাদেশের রাজনীতিকে ডমিনেট করেছিল। শেখ হাসিনা যখন সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন সেখানেও তারেক রহমানের নাম ছিল না। পরে তিনি ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে মামলায় সম্পৃক্ত করেন।
রায়ে বলা হয়েছে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর তিন আসামির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, বিচারিক আদালতের বিচারটা অবৈধ বলা হয়েছে রায়ে। বিচারিক আদালতে বিচার আইনের ভিত্তিতে হয়নি।
তিনি বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সবার আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। রুল যথাযথ ঘোষণা করেছেন। সবাইকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
শিশির মনির বলেন, কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো সাক্ষীর বক্তব্যে মিল নেই। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছে। আপিল মঞ্জুর করে ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, তারেক রহমান, বাবরসহ সবাইকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ধরনের মামলায় পরস্পর কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন-এ মর্মে কোনো প্রমাণ নেই। যাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, তা নির্যাতনের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। মুফতি হান্নান দুটি জবানবন্দি দিয়েছেন। দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেওয়ার নজির নেই। এই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করেন তিনি। এজন্য এর আইনগত মূল্য নেই। দ্বিতীয় অভিযোগপত্র দায়রা আদালতে দাখিল করা হয়। দায়রা আদালত এটি আমলে নিয়েছেন। আইন অনুযায়ী তিনি (দায়রা আদালত) এটা করতে পারেন না। এজন্য এই অভিযোগ আমলে নেওয়ার ভিত্তিতে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাকে অবৈধ বলেছেন হাইকোর্ট।