সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানাল আরএসএফ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের জড়ানোর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। সেইসঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানায় বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ নভেম্বর ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারকে সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম আসার বিষয়টি ‘পুরোনো আইন ও চর্চা’র ফল বলে মন্তব্য করেন। ‘পুরোনো আইনের’ মাধ্যমে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এ ‘স্বীকারোক্তিকে’ স্বাগত জানায় আরএসএফ।
আরএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষাৎকারে এ ধরনের মামলা করা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তি আছে কি না, তা একটি কমিটি পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানান তিনি। তবে এ প্রক্রিয়ার কোনো সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়নি।
আরএসএফ বলছে, ড. ইউনূসের এ বক্তব্য উৎসাহব্যঞ্জক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। যা ইঙ্গিত দেয় যে-‘প্রতিশোধ গ্রহণের’ ধারায় সেপ্টেম্বর থেকে শতাধিক সাংবাদিক ভুক্তভোগী হয়েছেন, শিগগিরই সে অবস্থার অবসান ঘটতে পারে।
সাক্ষাৎকারে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ কার্ড বাতিল করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেবে না। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত হবে শুধু।
এ বিষয়ে আরএসএফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান সিলিয়া মার্সিয়া বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বরাদ্দ ও বাতিল করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও অরাজনৈতিক পদ্ধতি থাকা জরুরি। এছাড়া নিপীড়নমূলক বিচারপ্রক্রিয়া থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আরএসএফ। সংগঠনটি বলেছে, আইনের শাসনের প্রতি সংগতি রেখে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারে অবশ্যই শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। সবশেষে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় ১৪০ জন সাংবাদিক ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগে করা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ মামলার আসামি হয়েছেন। গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে ২৫ জন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে। পূর্ববর্তী কোনো ধরনের অনুসন্ধান ছাড়াই এসব মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন পাঁচজন সাংবাদিক।