অ্যান্টিগা টেস্ট
তাসকিনের জোড়া আঘাত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচে টস জেতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টসভাগ্য পাশে পেয়ে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, প্রথম ঘণ্টার সুবিধা কাজে লাগাতে চায় তার দল। তবে প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশ ভাঙতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুর জুটি। উইকেটে বেশ সহায়তা থাকলেও ভালো বোলিং করতে পারেননি হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদরা। ১৪তম ওভারে এসে তাসকিন প্রথম আঘাত হানেন। ফেরান ৩৮ বলে চার রান করা উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাকেটকে। নিজের ওভারে তিনি শূন্যতে ফেরান নতুন ব্যাটার কেসি কার্টিকেও। তার জোড়া আঘাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৯ ওভারে উইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৪১/২। দুই উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ১৬ ওভারে ২৭। মিকাইল লুই ২১ এবং কাভেম হজ দুই রানে ব্যাট করছিলেন।
শুরুতে লাইন ও লেংথে যথেষ্ট ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি বাংলাদেশের পেসাররা। তাদের সামলাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ক্যারিবীয় ব্যাটারদের। প্রথম ঘণ্টায় কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি সফরকারীরা। অবশেষে চমৎকার এক ডেলিভারিকে ব্রাফেটের প্রতিরোধ ভাঙেন তাসকিন। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারির লাইনে যেতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন তিনি। কিন্তু এলবিডব্লুর থেকে বাঁচতে পারেননি। নিজের পরের ওভারে আরেকটি দারুণ ডেলিভারিতে কার্টিকে তাইজুলের ক্যাচ বানান তাসকিন। পাঁচ ওভারে ১৩ রানে তিনি নেন দুটি উইকেট।
বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়ে ছন্দে নেই। দেশের মাটিতে স্পিন সহায়ক উইকেটেও কাগিসো রাবাদাদের তোপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এবার পরীক্ষা আরও কঠিন, অ্যান্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে সামলাতে হবে ক্যারিবিয়ান পাঁচ পেসারকে! বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে। সবশেষ দুই সফরে স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ২০১৮ সালে প্রথমবার এই মাঠে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৪৩ রানে, যা এখনো টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। চার বছর পর এখানে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে। অলরাউন্ডার মিরাজকে নিয়ে প্রথম টেস্টে বাংলদেশের ব্যাটার সাতজন। সাবেক উইন্ডিজ পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছিলেন, ঘাসের আচ্ছাদন থাকায় ফাস্ট বোলারদের জন্য ভালো হবে।
অ্যান্টিগা টেস্ট দিয়ে একসঙ্গে পঞ্চাশ টেস্টের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। আগে অভিষেক বিবেচনায় এই মাইলফলক ছোঁয়া বাংলাদেশের অষ্টম ক্রিকেটার তাইজুল ও নবম মিরাজ। সময়ের হিসাবে পঞ্চাশ টেস্টে বাংলাদেশের তৃতীয় দ্রুততম মিরাজ। তার লেগেছে আট বছর এক মাস তিনদিন। তার চেয়ে কম সময়ে পঞ্চাশ টেস্ট খেলেছেন হাবিবুল বাশার (৭ বছর ৩ মাস ১২ দিন) ও মোহাম্মদ আশরাফুল (৭ বছর ১০ মাস ৮ দিন)।