গণমাধ্যমসহ চার সংস্কার কমিশন গঠন
প্রতিবেদন ৯০ দিনের মধ্যে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গণমাধ্যমসহ চারটি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অন্য তিনটি কমিশন হচ্ছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন, শ্রম সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন অবিলম্বে কাজ শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করবে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যমকে স্বাধীন শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে ১১ সদস্যদের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবের লক্ষ্যে এ কমিশন গঠন এবং কমিশনের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে। এ কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিয়ারা নাসরিন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক জিমি আমির, দ্য ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্তগুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন পারভিন হককে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে ১০ সদস্যের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। এ কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ফেলো মাহীন সুলতান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কল্পনা আক্তার, নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হালিদা হানুম আক্তার, নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র সামাজিক উন্নয়ন উপদেষ্টা ফেরদৌসী সুলতানা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশিতা জামান নিহা।
শ্রম অধিকার ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থা বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব ড. মাহফুজুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি তপন দত্ত, বাংলাদেশ লেবার কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম নাসিম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ম কামরান টি করিম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি চৌধুরী আশিকুল আলম, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাকিল আখতার চৌধুরী, অলোকচিত্রী ও শ্রমিক আন্দোলন সংগঠক তাসলিমা আখতার এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনে অন্য সদস্য হিসাবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, বিআইএসএসের পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোক্তা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট এএমএম নাসির উদ্দিনকে এর সদস্য সচিব করা হয়েছে।