গণতান্ত্রিক যাত্রায় ড. ইউনূসের রূপরেখা চায় যুক্তরাজ্য
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রূপরেখা চায় যুক্তরাজ্য। রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট। দুদিনের সফরে ১৬ নভেম্বর তিনি ঢাকায় আসেন। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাজ্য সরকারের কোনো জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধির এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ক্যাথরিন বলেন, ‘১১ বছর পর আমি বাংলাদেশে এসেছি। সেই হিসাবে এটি বাংলাদেশে আমার দ্বিতীয় সফর। এখন ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী হিসাবে এখানে আসতে পেরে খুব খুশি। অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায় এবং জাতীয় পুনর্মিলনকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এ বিষয়ে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই যুক্তরাজ্য আশা করছে, কীভাবে সেসব বাস্তবায়ন হবে, তার রূপকল্প তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে রাজনীতিতে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রত্যাশা করে যুক্তরাজ্য।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, ‘সামরিক জান্তার দমন-পীড়নে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ১০ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে যুক্তরাজ্য।’
ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের খুব শক্তিশালী ও অবিচল বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা শক্তিশালী অংশীদারত্ব গঠন করতে চাই। এজন্য এর গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তিপ্রস্তরটি শক্তিশালী সম্পর্কের ওপর নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি আমরা একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি-বাণিজ্য থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক কিছু একসঙ্গে করছি। এসব কাজ অবশ্যই চালিয়ে নিতে হবে।’
ওয়েস্ট বলেন, কয়েক মাসের অশান্ত অবস্থার পর বাংলাদেশের জনগণের ‘শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ ও জবাবদিহির’ জন্য একটি পথ পাওয়া প্রয়োজন। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে যুক্তরাজ্য কীভাবে সর্বোত্তম সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে আমি এখানে এসেছি।