Logo
Logo
×

শেষ পাতা

খাল দখলের জের

নোয়াখালীতে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালীতে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইউনুস আলী ওরফে এরশাদ (৪০) নামে এক যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। খাল দখল নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এরশাদ উপজেলার দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছ গ্রামের রইছুল হকের ছেলে। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তার পরিবারের দাবি, স্থানীয় বিএনপির লোকজন এর সঙ্গে জড়িত।

এরশাদের ভগিনীপতি মো. জয়নাল আবেদীন আলমগীর বলেন, ৬ মাস আগে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুছাপুর ক্লোজারের পশ্চিমের দা খালটি আমাদের কাছে ইজারা দেয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালটি দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা। তাদের নির্দেশে বুধবার বিকালে স্থানীয় সমীর খান, জাবেদ, ওবায়দুল্যাহ খানসহ ১০-১৫ জন খালে আমাদের মাছ ধরার জালটি কেটে তাদের জাল বসিয়ে দেয়। খাল দখলকারীরা বলে আওয়ামী লীগ সরকার এখন নেই, তাদের সময়ের দেওয়া ইজারাও নেই।

আলমগীর আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমিসহ পরিবারের আরও চার সদস্য গিয়ে জাল কেটে খাল দখলের বিষয়টি জানতে চাই। সেখানে স্থানীয় নেজাম, তার ছেলে সুজন, ও তারেক এবং তাদের আত্মীয় তারেক, বাবলু ও রুমনের সঙ্গে আমাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় নিজাম ও তার লোকজন এরশাদকে পেটে ছুরিকাঘাত করলে তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। এছাড়া অন্যদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এরশাদকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আলমগীর অভিযোগ করেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ও তার ছোট ভাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মানছুরুল হক বাবরের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. শাহজাহান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি ও আমার ছোট ভাই বাবর কোনোভাবেই জড়িত নয়। এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, এরশাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম