Logo
Logo
×

শেষ পাতা

শেখ মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে বক্তব্যে রিজভীর দুঃখপ্রকাশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শেখ মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে বক্তব্যে রিজভীর দুঃখপ্রকাশ

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার দুপুরে বক্তব্যের সংশোধনী দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন। এর আগে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি মনে করেন, ছবি নামিয়ে ফেলা উচিত হয়নি। খন্দকার মোশতাক ছবি নামিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন।’

বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বক্তব্যের সংশোধনীতে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’-মর্মে সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম-বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে, সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।” তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে সকালে নয়াপল্টনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে নিল। জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় এলেন। জিয়াউর রহমান কিন্তু বঙ্গভবনে শেখ মুজিবের ছবি ফিরিয়ে আনেন।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনের ডেডলাইন দিতে এত দ্বিধা-সংকোচ কেন? : অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনের ডেডলাইন দিতে আপনাদের মধ্যে এত দ্বিধা, এত সংকোচ কেন? ৫ আগস্টের চেতনাকে ধারণ করতে পারছেন না বলেই স্বৈরাচারের দোসরকে আপনারা বসিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় রাখা স্বৈরাচারের দোসররা তো আপনাদের ব্যর্থ করবেই। নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার বিকালে নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।

নতুন উপদেষ্টা বানানোর প্রসঙ্গ টেনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, আপনি আবার নতুন কয়েজনকে উপদেষ্টা করেছেন। নতুন উপদেষ্টা করার অধিকার আপনার আছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশীজনদের অভিমত নেওয়ার দরকার ছিল। যে মেয়েটি বিতর্কিত শেখ মুজিবের বায়োপিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। আপনারা তার স্বামীকে উপদেষ্টা বানিয়েছেন। অন্তর্র্বর্তী সরকারে বিএনপির সমর্থন রয়েছে বলে রিজভী বলেন, আপনি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকারে এসেছেন। আপনাকে বিএনপি সমর্থন করে। তিনি বলেন, আপনি নির্বাচনের কথা বলেন। কিন্তু নির্বাচনের ডেডলাইন দেন না। কিন্তু এটা কেন? এটা তো রহস্যজনক। রিজভী আরও বলেন, আলুর কেজি কেন হবে ৭৫-৮০ টাকা। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না কেন। আপনি সিন্ডিকেটবাজদের কেন গ্রেফতার করতে পারছেন না। দুর্বলতা কোথায়!

বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রহীম। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম