শম্ভু ও ওবায়দুল কাদেরের পিএস রিমান্ডে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শরীফুর রহমান তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আবদুল মতিনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এদিন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে গ্রেফতার করা হয়।
সকালে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার রাত ৯টায় রাজধানীর উত্তরা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, সরকারি ইস্পাহানি কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন হত্যা মামলায় আবদুল মতিনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল কেরানীগঞ্জের আরশি নগরে সন্ত্রাসীরা তার ছত্রছায়ায় সব ঘটনা ঘটিয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক পাওয়ার ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। ওই এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সন্ত্রাসীদের সে তার ছত্রছায়ায় রাখে। তার হুকুমে ভিকটিম রিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে জীবন কেড়ে নিয়েছে বহুজনের। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আবদুল মতিনের পক্ষে তার আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, আবদুল মতিনের বাসা মোহাম্মদপুরে। তিনি সেখানে বাস করেন। কেরানীগঞ্জ যাননি, বসবাসও করেননি। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। এজাহারে নামও নেই। আর ঘটনাস্থলেও ছিলেন না। তিনি অসুস্থ। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে রোববার রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের চর ওয়াশপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। ‘মমতাজ মহল’ নামে ওই বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে বলে জানিয়েছেন মতিন।
আব্দুল মতিন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার চর খাগকাটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারীর পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।