জাতীয় দুর্নীতি দমন কৌশল দরকার
বিতর্কিতরা পান সততার জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) দুদক আইনে সংযুক্ত করার তাগিদ * রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি ব্যয়ে লাগাম টানতে জাতীয় ঐকমত্য দরকার
জাতিসংঘের ‘আনকাক’ (ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন) অনুসমর্থনকারী দেশ হিসাবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সমন্বিত শুদ্ধাচার কৌশল দলিল হিসাবে গ্রহণ করে, যার বাস্তবায়ন শুরু ২০১২ সাল থেকে। শর্ত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে শুদ্ধাচার (নৈতিকতা ও সততা) প্রতিষ্ঠাসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুশাসন বজায় রাখা। ‘আনকাক’ প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি ছয়টি জায়গায় এ নিয়ে কাজ করার কথা। বাস্তবে ঘটেছে উলটো। সরকারি দপ্তরে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা নেই বরং নিজেরা লাভবান হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিলেন-এমন বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ তালিকায় ছিলেন সরকারের আমলা-সচিব ও আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানও।
২০২২ সালে জাতীয় পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার পান তৎকালীন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। তার জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়া নিয়ে তখন প্রশ্ন উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের আগেই বেশুমার দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। তখন তার সম্পত্তিও ক্রোক করা হয়। সম্পদের হিসাব দিতে নোটিশ করা হয়। সরকার পতনের আগেই সুকৌশলে বেনজীর সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভাগীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান জামালপুরের তৎকালীন ডিসি আহমেদ কবীর। পুরস্কার পাওয়ার মাস দুয়েকের মাথায় নিজ কার্যালয়ে এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর ভিডিও ভাইরাল হলে তাকে ডিসির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে শুদ্ধাচার পুরস্কার পান তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তার হাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার তুলে দেন। সততার জন্য এ পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় বিতর্কিত আরও কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক পুরোনো। টিআই-এর ধারণা সূচকে ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়। এর আগের বছরের দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে ওই রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশের প্রথমেই বাংলাদেশের অবস্থান তালিকার শীর্ষে চলে আসে। পরে ২০২৩ সালে ছিল দশম স্থানে। এ নিয়ে তখন কথাও উঠেছিল। এমন বাস্তবতায় সরকার ২০১২ সালে ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (নীতি)’ প্রণয়ন করে। ব্যক্তিপর্যায়ে শুদ্ধাচারের অর্থ হলো-‘কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা, তথা চরিত্রনিষ্ঠা।’
সংশ্লিষ্টরা বলেন, এসব কথা শুদ্ধাচার কৌশলে থাকলেও কার্যত এটি ছিল রাষ্ট্র ও জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। সরকারের সুবিধাভোগী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কিছু পদধারী লোক নৈতিকতা ও সততার জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেও কার্যত তাদের ব্যক্তিজীবনে, তাদের সংস্থায় এবং রাষ্ট্রে শুদ্ধাচারের কোনো চর্চা হয়নি। যারা পুরস্কার পেয়েছেন, তারাও সততার কোনো নজির স্থাপন করতে পারেননি। বিশিষ্টজনরা বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় দুর্নীতি দমন কৌশল না থাকায় দাতা সংস্থা ও জাতিসংঘের শর্ত বাস্তবায়ন হয়েছে-এমনটি দেখানোর জন্য করা হয়েছিল জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বা ‘ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি সিস্টেম’ (এনআইএস)। এটি ব্যর্থ হয়েছে। সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রে একটি কার্যকর ‘জাতীয় দুর্নীতি দমন কৌশল’ দরকার, মনে করছেন তারা।
বিশ্বের অনেক দেশে ‘ন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন স্ট্র্যাটেজি’ আছে উল্লেখ করে দুদকের দুজন পরিচালক যুগান্তরকে বলেন, সংস্কার শুধু দুদক নিয়েই নয়, সারা দেশের দুর্নীতি কীভাবে সর্বক্ষেত্রে নির্মূল করা যায়-সংস্কার হতে হবে তা নিয়েও। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে কোনো স্ট্র্যাটেজি নেই। যেটা করা হয়েছিল ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি স্ট্র্যাটেজি (এনআইএস), সেটাও যেহেতু লক্ষ্য অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়নি, তাই দেশের জন্য নতুন করে জাতীয় দুর্নীতি দমন কৌশল প্রণয়ন দরকার। সেটা কীভাবে হবে, তা দুদক সংস্কার কমিটি এবং প্রশাসনিক ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিটি তাদের সুপারিশে তুলে ধরতে পারে। এনআইএস-এর অংশীজন ১০টি রাষ্ট্রীয় এবং ৬টি অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ছিল শুদ্ধাচার চর্চার কেন্দ্রে। এটি যদি চর্চা হতো, তাহলে বাংলাদেশে এত দুর্নীতি থাকার কথা ছিল না। দেশের মানুষ এনআইএস বা এর অংশীজন ১০টি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও ছয়টি অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছুই জানে না।
শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের জন্য যে ১০টি প্রতিষ্ঠান সরকার বাছাই করেছিল সেগুলো হলো-নির্বাহী বিভাগ ও জনপ্রশাসন, জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেল, সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ন্যায়পাল, দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্থানীয় সরকার। এছাড়া ছয়টি অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলো-রাজনৈতিক দল, বেসরকারি খাতের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও সুশীল সমাজ, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যে ১০টি কাজ করার কথা ছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-শোষণমুক্ত ন্যায়ানুগ সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা, মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সব নাগরিকের জন্য সমতা নিশ্চিত করা, নাগরিকের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন ও সুষম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, জাতীয় জীবনে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, প্রত্যেকের যোগ্যতা বিবেচনা করে কর্ম-অনুযায়ী পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা এবং কোনো ব্যক্তির অনুপার্জিত (অবৈধ) আয় ভোগের বিষয়ে সমর্থন না করা।
জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী শুদ্ধাচারের এ কৌশল বাস্তবায়নের জন্য একটি ‘জাতীয় শুদ্ধাচার উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠন করে সরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই উপদেষ্টা কমিটির প্রধান। তার নেতৃত্বে কয়েকজন মন্ত্রী, কয়েকজন সংসদ-সদস্য, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন প্রতিনিধি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনজিও, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সদস্যরা এ পরিষদে থাকবেন। আরেকটি কমিটির প্রধান ছিলেন অর্থমন্ত্রী। তারা কেউ এই নীতি বাস্তবায়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। অথচ চুক্তি অনুযায়ী রাষ্ট্রে শুদ্ধাচার, দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এই পরিষদের সদস্যরা বছরে অন্তত দুবার সভায় মিলিত হওয়ার কথা ছিল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার সচিবালয় হিসাবে কাজ করার কথা ছিল। দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচারকে স্বীকৃতি দিতে এ কমিটির সুপারিশে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করবে-এমনটিই ওই কৌশল বা চুক্তিতে ছিল।
কিন্তু গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন করে রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত করার বিষয়ে তেমন কোনো ভূমিকা রাখা হয়নি বলে জানান কমিটিরই একজন সদস্য। তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্ক হলো ক্ষমতার। জবাবদিহি নেই, এমন ক্ষমতা বিদায়ি সরকারকে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্ট করে তোলে। সরকারের প্রতিটি পয়সা খরচের বিষয়ে যদি জবাবদিহি থাকত, তাহলে এভাবে দুর্নীতির বিস্তার ঘটত না। তিনি বলেন, ১২ বছরে ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি স্ট্র্যাটেজি বা এনআইএস সরকারি কর্মচারীদের ওপর নামকাওয়াস্তে প্রয়োগ দেখানো হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কিছুই কমেনি। অন্যদিকে রাজনৈতিক দল বা নেতাদের বিষয়ে তা প্রয়োগের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। অথচ সরকারের ম্যান্ডেট ছিল দুর্নীতি না করার। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, আমি পরামর্শ দেব, আইনগত বাধা না থাকলে দুদককে এনআইএস-এর কর্তৃপক্ষ করার জন্য।
১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অরাষ্ট্রীয় ৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ নম্বরে রয়েছে রাজনীতি। ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল-১২ বছরে যেসব দল ভোট করেছে, তাদের ওপর এটি প্রয়োগের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার।
সুশাসন নিয়ে কাজ করেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি সিস্টেম’-এনআইএস’র উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার নিজের দলেই এনআইএস-এর প্রয়োগ ছিল না। তারা যদি এই নীতি প্রয়োগ করতেন, তাহলে দেশে এত বড় বড় দুর্নীতি হতো না। তিনি বলেন, দুদককেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। শুদ্ধাচার কৌশলও বাস্তবায়ন না হওয়ায় রাজনীতির নামে বিগত সরকারের সময়ে প্রতিযোগিতা করে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি মনে করেন, এ ধরনের এনআইএস বা শুদ্ধাচার কৌশলপত্র গ্রহণ ছিল দাতা সংস্থা বা বিদেশিদের দেখানোর জন্য করা। তিনি প্রশ্ন করেন-প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, এমপি, সচিব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি দলের নেতা, ঠিকাদার, প্রকল্প পরিচালক থেকে শুরু করে একজন নির্বাচনি কর্মকর্তা পর্যন্ত কেন দুর্নীতিমুক্ত থাকতে পারলেন না? তারা কি সবাই মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে একটাই জবাব আসবে-কোনো সরকার যখন একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পায়, তখন তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
দুদকের একজন সাবেক মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ করতে না পারাই দুর্নীতির সূতিকাগার। এর মূল কারণ হচ্ছে, দেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা, নির্বাচনব্যবস্থা ও নির্বাচনের খরচ-এসব জায়গায় স্বচ্ছতা আনতে না পারা। তিনি বলেন, ঢাকার একটি আসনে নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে একজন সংসদ-সদস্যকে ৫০-১০০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়। একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রার্থী ১-২ কোটি টাকা খরচ করে। এ টাকা যারা খরচ করে, তারা এ টাকা কীভাবে উঠান বা কোন সোর্স থেকে কালেকশন করেন, তা কিন্তু হলফনামা বা কোথাও প্রকাশ করেন না। যদি প্রার্থী বৈধভাবেও খরচ করে থাকেন, তাহলেও ৫০-১০০ কোটি টাকা খরচ করার উদ্দেশ্য থাকে তাকে অন্তত এ টাকা উদ্ধার করতে হবে। আর যদি ফেল করেন, পুরো টাকা লস।
তখন তিনি ভিন্নপথে এই টাকা উঠান।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যিনি ক্ষমতায় গেলেন, যতদিন ক্ষমতায় আছেন, এর চেয়ে বেশি অর্জন করেন। সঙ্গে ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। এভাবে একজন এমপির আড়াইশ কোটি টাকা আয়-ব্যয়ের হিসাবের দিকে এতদিন চোখ দেয়নি কেউ। নির্বাচিত ওই এমপি বা মন্ত্রীর দেশে-বিদেশে বাড়িঘর, জমিজমা, ব্যবসা গড়ে তোলেন। দেশের বাইরে পাচার করেন অর্থ। ফলে নির্বাচিত হওয়ার পর তার বড় কাজ হয়ে ওঠে দুর্নীতি। এ দুর্নীতির জন্য ওই এমপি-মন্ত্রীকে খুঁজে নিতে হয় সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন বা অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। এভাবে শুরু হয় একটা ন্যাকসাস। এরসঙ্গে যুক্ত হন ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, বিভিন্ন দপ্তর প্রধান। ফলে রাজনীতির নামে দুর্নীতির ব্যাপকতা রোধ করতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি টাকা খরচের পথ বন্ধ করতে হবে। আর এ বিষয়টি শুদ্ধাচার কৌশলে রাজনৈতিক দলের ওপর প্রয়োগ দেখানো হলেও বিগত সরকার এর ধারেকাছেও ছিল না। উলটো উচ্চপর্যায়ের আশকারায় দুর্নীতি বেড়েছে লাগামহীন।