২০০১ সালে বিএনপির মিছিলে গুলি
ডা. ইকবাল ও শাওনসহ ১৫ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
২০০১ সালে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে বিএনপির মিছিলে গুলির ঘটনায় হওয়া মামলা থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচবিএম ইকবাল ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ১৫ জনের অব্যাহতির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্ট দায়রা আদালত-৮ এ আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী তৎকালীন খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ইউনুস মৃধার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে মালিবাগে একটি মিছিলে তৎকালীন সরকারদলীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. এইচবিএম ইকবালের নির্দেশে সরাসরি গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই তিনজন বিএনপির কর্মী নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। তারা হলেন জসিমউদ্দিন, খোকন, আব্দুর রশিদ মোল্লা ও নাজমা আক্তার।
ঘটনার পরদিন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘এমপি ইকবালের মিছিল থেকে গুলি’ শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় সন্ত্রাসী দুলাল ও খোরশেদ আলম মিছিলের ভেতর থেকে পিস্তল দিয়ে সিনেমা স্টাইলে গুলি করছেন-এমন ছবিও ছাপা হয়। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডা. এইচবিএম ইকবালসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লা মামলা থেকে কয়েকজন আসামির নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। সে অনুসারে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টেম্বর ১৫ জন আসামিকে অব্যাহতি দেন। আর বাকিদের বিরুদ্ধে বিচার চলমান।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, কেন অব্যাহতি দিয়েছেন তার পক্ষে কোনো বিস্তারিত মতামত দেননি বিচারক। এ কারণে পটপরিবর্তনের পর মামলার বাদী ইউনুস মৃধা হাইকোর্টে ২০১০ সালের দুটি আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে দুটি আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। আর ১৫ আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া মামলাটিতে এখন তাদের বিরুদ্ধে বিচার চলবে।