বিএনপির সঙ্গে বৈঠক
দ্রুত নির্বাচনের প্রত্যাশা গণঅধিকার পরিষদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক করেন দলটির নেতারা। এতে সরকারের সংস্কার কার্যক্রম, নির্বাচন কমিশন গঠন ও আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন নেতারা। এছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতিতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড আলোচনায় ওঠে। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে ছিলেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনীম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান।
বৈঠক শেষে নুরুল হক নুর বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ৩ মাসেও গণগত্যার সঙ্গে জড়িত ৩ হাজার অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়নি। আইনের মাধ্যমে আমরা চাই, গণহত্যায় জড়িত রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের নিষিদ্ধ করা, আগামীতে যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
তিনি বলেন, যেহেতু এই আন্দোলনে (ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান) বিএনপি একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তাদের সঙ্গে আমরা আন্দোলন করেছি। শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকার ভালোভাবে চলুক, দেশকে একটা সঠিক পথে নিয়ে যাক। দ্রুত সময়ের মধ্যেই একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নুর বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে আমরা যারা আন্দোলন করেছি। আগামী সরকার গঠিত হওয়া পর্যন্ত আমরা চাই বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা। দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকা। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেখানে গণঅধিকার পরিষদের পরিষ্কার বক্তব্য, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক আলোচনা জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া কোনো ধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না। তিনি বলেন, নতুন নতুন তাত্ত্বিক তৈরি হচ্ছে। কিছু মানুষ গণ-অভ্যুত্থানে সামনে ছিল বলে তারা যা ইচ্ছা তাই বলবে আমরা সেটা মেনে নেব না। ৫ আগস্টের পর বিপ্লবী সরকার গঠনের অবাধ সুযোগ ছিল; কিন্তু ছাত্ররা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।