কাপাসিয়ায় দখল রাজত্ব
যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বিএনপি নেতার
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
একটি হাট ও বাড়ি দখল নিয়ে ৪ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরের শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান।
সোমবার গাজীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা জানতে পারে ওই হাটে ইজারার নামে জনগণের কাছ থেকে বেশি টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। তাই তারা হস্তক্ষেপ করেছেন। এখানে ইজারার টাকা হরিলুট বা বিএনপির কোনো নেতাকর্মী দলীয়ভাবে জড়িত ছিলেন না। এমনকি চরসন্মানিয়ায় নদী খননের মাটি নিলামে উঠানোর জন্য কারো কাছ থেকে তিনি কোনো টাকা গ্রহণ করেননি।’
উল্লেখ্য, যুগান্তরের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কাপাসিয়ার আমরাইদ গরুর হাট দখল করে দুদিনে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিএনপির কাতিপয় নেতাকর্মী। শুধু তাই নয়, ইজারাদারের দুই কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়িও দখল করে নিয়েছেন রায়েদ ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি। এ যেন এক দখল রাজত্ব। এছাড়া চরসন্মানিয়ায় খাল খননে মাটি নিলামে নেওয়ার জন্য স্থানীয় যুবদলের দুটি গ্রুপের পাঁয়তারা এবং টোক ইউনিয়নের ‘ডায়মন্ড হ্যাচারীর’ লেয়ার মুরগির পরিত্যক্ত বর্জ্য (লিটার) অপসারণের জন্য আওয়ামী লীগকে হটিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি লেদা কমিটি গঠন করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।’
তবে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে যুগান্তরের প্রতিবেদক বলেন, ‘প্রকাশিত সংবাদটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রমাণাদির ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এখানে আমার (প্রতিবেদক) নিজস্ব মতামত কিংবা মনগড়া কোনো বক্তব্য নেই। ঘটনার প্রমাণসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ও সবার কল রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।’
অপরদিকে কাপাসিয়া উপজেলার ২নং রায়েদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাইলজোর গ্রামের বাসিন্দা এবং কাপাসিয়া উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনে কর্মরত সোহরাব হোসেন জানান, তিনি ২৭ অক্টোবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ২নং রায়েদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাদল তার কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন এবং ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে তিনি ধারদেনা করে তাকে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। এখন হুমকি দিচ্ছেন এলাকায় থাকতে হলে বাকি ৫০ হাজার টাকাও দিতে হবে। ওই টাকা জোগাড় করতে না পারায় সোহরাব পরিবার-পরিজন নিয়ে ভয়ভীতির মধ্যে আছেন। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম বাদলের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া য়ায়।