নিম্ন আদালতে বদলি নীতিমালার খসড়া
একই কর্মস্থলে বিচারকরা তিন বছরের বেশি নয়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য বদলি ও পদায়ন নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। এ নীতিমালা সম্পর্কে বিচারকদের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রণীত খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী একই কর্মস্থলে কোনো বিচারক তিন বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। রাজধানী ঢাকায় বিচারকের কর্মকাল ছয় বছরের বেশি হবে না। ঢাকায় কোনো পদে তিন বছর চাকরি করলে তাকে অবশ্যই রাজধানীর বাইরে পদায়ন করতে হবে। ৭ নভেম্বরের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তর বা ই-মেইল অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মতামত লিখিত আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বদলি ও পদায়ন নীতিমালা খসড়া সংক্রান্তে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত সব জেলা ও দায়রা জজ/ সমপর্যায়ের বিচারকদের মতামত লিখিত আকারে পাঠাতে হবে। এতে বলা হয়েছে, ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেন। প্রধান বিচারপতি তার অভিভাষণে দেশের বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা, ২০২৪-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
এতে তিন বছরের বেশি এক কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন না করা (বিশেষ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি চাইলে এক বছর বাড়াতে পারবেন)। চৌকি আদালতে পদায়নের মেয়াদকাল হবে এক বছর, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন, শূন্য পদ ছাড়া বদলি না করার বিষয় খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া রয়েছে, যে আদালতে পরিবারের কেউ (স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাই, বোন, নানা, দাদা) আইনজীবী আছেন, সেই আদালতে বদলি করা যাবে না। যেখানে বিচারক ১০ শতাংশ জমি কিনেছেন, সেই জেলায় বদলি করা যাবে না। স্বামী-স্ত্রী বিচারক হলে একই কর্মস্থলে বদলির অগ্রাধিকার পাবেন। বছরের নভেম্বর মাসে বদলি সম্পন্ন করতে হবে। তিন বছরের বেশি প্রেষণ নয় প্রভৃতি।