চলে গেলেন অভিনেতা মাসুদ আলী খান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন অভিনেতার পরিবারের সদস্য শারমিনা আহমেদ। অভিনেতার সহকারী রবিন মণ্ডল গণমাধ্যমকে জানান, গত ৬ অক্টোবর ৯৬-এ পা রেখেন মাসুদ আলী খান। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ এই শিল্পী। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মাসুদ আলী খানের দাফন কোথায় ও কখন হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি রবিন মন্ডল। তিনি আরও জানিয়েছেন, অভিনেতার এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তার ছেলের সিদ্ধান্তের ওপরই সব নির্ভর করছে। মাসুদ আলী খানের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে। সেখানেই দাফন করা হতে পারে তাকে।
মঞ্চে অভিনয় দিয়ে শুরু মাসুদ আলী খানের। ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হওয়ার পর ছোট পর্দায় অভিষেক। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন।
মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু।
মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসাবে চাকরি থেকে অবসর নেন।