জনশক্তি রপ্তানি খাত
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে
প্রভাবশালীদের বাঁচাতে চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে বিএমইটির শীর্ষপর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ * একটি মামলা পুনঃতদন্তের জন্য প্রবাসীকল্যাণ সচিবকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি
বহাল তবিয়তে আছেন জনশক্তি রপ্তানি খাতসংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ ও প্রভাবশালী কর্মকর্তারা। এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। উলটো রাগববোয়ালদের বাঁচাতে কতিপয় চুনোপুঁটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এরকম একটি মামলার তদন্ত নিয়ে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এসেছে। খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ওইরকম একটি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জনপ্রশাসন অভিযোগটি পুনঃতদন্তের জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অভিযোগটির পুনঃতদন্ত হলে ফেঁসে যাবেন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী, মন্ত্রীর বেশ কয়েকজন আত্মীয়স্বজন, বিএমইটির তৎকালীন ডিজি ও মন্ত্রণালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে এবং যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-দেশের রেমিট্যান্স আহরণের খাতটি পঙ্গু করে রাখার নেপথ্যে দায়ী খোদ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিএমইটির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। তাদের মধ্যে সিন্ডিকেটপ্রধান ও মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে গত বছর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হেলালের তদবিরে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং প্রধান উপেদষ্টার কার্যালয়ে জমা আছে। ওই কর্মকর্তার স্ত্রীর বড় ভাইকে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একটি প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হয়েছিল। জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি ওই দেশকে সরকারের পক্ষে রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২০২৩ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি শ্রমিক নিয়োগানুমতি একাই কুক্ষিগত করে রাখেন। তার অদক্ষতা ও ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থতার কারণে ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক। যেসব সহযোগী রিক্রুটিং এজেন্সি ওই শ্রমিক কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
আরও অভিযোগ-৫ আগস্টের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে প্রবাসীরা বিক্ষোভ করেন। ওই কর্মকর্তার পরামর্শে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দুবাইয়ে ৫৭ জন শ্রমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ওই কর্মকর্তা কর্মীদের শাস্তি নিশ্চিত করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টা করেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়েও যখন বিষয়টি সমাধানের জন্য বলা হয়, তখনও ওই কর্মকর্তা বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যান। পরবর্তী সময়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারী কর্মীরা দেশে ফিরতে সক্ষম হন।
ওই কর্মকর্তার অদক্ষতার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ আছে। সিঙ্গাপুরেও নতুন শ্রমিক যাওয়া কমেছে। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশ মালদ্বীপেও বাংলাদেশি কর্মী রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। দেশটিতে ২০২২ সালে ৬৩ হাজার ৩৮৩ জন এবং ২০২৩ সালে ৫৩ হাজার ২৬৫ জন গেলেও চলতি বছর গেছেন মাত্র ১৪ হাজার ৯৬৪ জন। জানা যায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে শ্রমিক গেছেন ৩০ লাখ ৫ হাজার ৩৫৩ জন। আর চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে গেছেন মাত্র ৫ লাখ ৮০ হাজার ৪১৯ জন। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমল থেকে মালয়েশিয়াভিত্তিক যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, সেটিও ভাঙতে তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি। এ সিন্ডিকেটপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজের স্বার্থে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষমতা কখনো মন্ত্রণালয়ের কাছে রাখনে আবার কখনো বিএমইটির কাছে ন্যস্ত করেন। যদিও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা এক ধাপ কমিয়ে তা পুরোপুরি বিএমইিটর হাতে ন্যস্ত করে।
একজন শ্রমিক বিদেশ যেতে হলে ৩০০ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। ‘আমি প্রবাসী’ নামের একটি বহুল আলোচিত অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের টাকা নেয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। অ্যাপটির মাধ্যমে প্রতিমাসে বিদেশগামী শ্রমিকের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আদায় করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, এ অর্থ সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা থাকলেও তা জমা হয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে। অ্যাপ তৈরির নামে একটি চুক্তির মাধ্যমে এ অর্থ নিয়েছে থ্যান সিস্টেম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটির পকেটে যাবে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা। বেসরকারি এ প্রতিষ্ঠানের মালিক সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদের ভাগিনা নামির আহমেদ। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও সিন্ডিকেটের কারণে অ্যাপটি বহাল রাখা হয়। এই সিন্ডিকেট এসব অনিয়মের সুবিধাভোগী হওয়ায় নিয়মবহির্ভূতভাবে চালু করা অ্যাপটি বাতিলের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পিপিআর ২০০৮, সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৯-এর ধারা ৭ এবং ট্রেজারি রুলসের রুল-৩ ও ৭(১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে আগের একজন মহাপরিচালক ও সিন্ডিকেট সদস্য তড়িঘড়ি করে চুক্তিটি বাস্তবায়ন করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। খোদ বিএমইটির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের আয় নিয়ে তদন্ত হলে মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী, সচিব, বিএমইটির ডিজিসহ একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফেঁসে যাবেন। অভিযোগ আছে, এ অ্যাপ থেকে আয়ের একটি অংশ এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পকেটে যেত বলে এখনো এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
জানা যায়, খোদ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে কারিগরি ত্রুটির জন্য পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন প্রায় ৫০ ভাগ করা যাচ্ছে না। এরপরও অ্যাপের মাধ্যমে ই-বহির্গমন ছাড়পত্র, ই-নিয়োগ অনুমতি, ই-কালো তালিকাভুক্তি, ই-ওয়ার্ক ভিসা, ই-মেডিকেল, ই-কারিগরি ট্রেনিং সেন্টার, ই-পদ্ধতিতে রাজস্বের টাকা আদায়ের জন্যও একটি প্রস্তাব দিয়েছে নামিরের মালিকানাধীন থ্যান সিস্টেম।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রীর জামাতা (যিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন), সাবেক সচিবের ছেলে, বিএমইটির সাবেক এক ডিজিসহ এ সেক্টরে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে নানান অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ-এই সিন্ডিকেটের কথা না শুনলে যে কোনো কর্মকর্তা নানাভাবে নাজেহাল হতেন। নির্দোষ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখানো হতো। সিন্ডিকেটকে সহযোগিতা না করলে বদলি, হয়রানিসহ নানাভাবে হেনস্তা করা হতো। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বিগত সরকারের আমলের এরকম শত শত তদন্ত পুনঃতদন্ত করা হলে ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ’ বেরিয়ে আসবে। জানা যায়, যাদের হাতে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, শুধু সিদ্ধান্তের জন্য নথি উপস্থাপন করে এসব তদন্তে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। সম্প্রতি একজন অতিরিক্ত সচিবকে দিয়ে এ ধরনের একটি অভিযোগ তদন্ত করানো হয়, যাতে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে নির্দোষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফাঁসিয়ে দিয়ে একপেশে প্রতিবেদন করানো হয়।
জানা যায়, ওই মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সংখ্যার বাইরে অবৈধভাবে অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়েছিল। এর সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির অনেক প্রভাবশালীর সম্পৃক্ততা ছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্ত রিপোর্টের পর্যবেক্ষণে এ ঘটনার সঙ্গে বিএমইটির মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, উপপরিচালক এবং পরিচালকের অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে এসব বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু করা হয় বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তদন্ত রিপোর্টে ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি।
খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. ওলিউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ মামলার প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্তকালীন বর্ণিত কর্মকর্তাদের কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ করেননি এবং তদন্তকালীন তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তিযুক্ত সুযোগ প্রদান করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে ছাড়পত্র ইস্যুর অনুমোদন প্রদান প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে মতামত প্রদান করা হয়নি।’ তদন্ত প্রতিবেদনের মতামত অংশে বিএমইটি কর্তৃক অবৈধভাবে বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যুর সঙ্গে ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। তবে ‘বর্ণিত কর্মকর্তারা কোন পর্যায়ের কিংবা কীভাবে সম্পৃক্ত, তা সুনির্দিষ্ট করেনি। এমনকি তদন্ত কমিটি সার্বিক মতামত অংশে তদন্তের বিবেচ্য ৩টি বিষয় তদন্তে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করলেও বর্ণিত কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে তাদের বিষয়ে সার্বিক মতামত অংশে আলাদাভাবে সুস্পষ্ট মন্তব্য প্রদান করা হয়নি। এ অবস্থায় পুরো বিষয়টি পুনঃতদন্ত প্রয়োজন।’
এ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন যুগান্তরকে বলেন, অভিযোগটি যিনি তদন্ত করেছেন, তিনি এখন আর চাকরিতে কর্মরত নেই। এ কারণে পুনঃতদন্ত করার সুযোগ নেই। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চাইলে তারা নিজেরাই পুনঃতদন্ত করতে পারবে। সচিব আরও বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছেও পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেও অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো প্রভাবশালী জড়িত ছিলেন না। তদন্তের বাইরেও যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এখন আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের চাকরিচ্যুত করে মামলা নথিভুক্ত করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএমইটির একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বহির্গমন সংখ্যার নথিপত্র বিএমইটিতে সংরক্ষণ করা হয় না। এসব নথিপত্র রিক্রুটিং এজেন্সির কাছেই থাকে। এতে বিএমইটির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
অভিযোগ আছে-মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সাড়ে ৩ হাজার কর্মী আরব আমিরাতে যাওয়ার সঙ্গে ৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্টোর (আরএল-৪৫২), মেসার্স ডালাস ওভারসিজ (আরএল-৫৩২), মেসার্স আল মোবারক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (আরএল-৫৪২), মেসার্স আইডিয়া ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (আরএল-৯৫৩) এবং মেসার্স আর ফাত্তাহ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের (আরএল-১৫০১) মাধ্যমে ১৫০৪ জন কর্মীর অনুমোদন নেওয়া হয়। কিন্তু তদন্তে এসব রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।