Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ঘুরে দেখলেন এনডি কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে যুগান্তর ও যমুনা টিভিকে ধন্যবাদ

দেশি-বিদেশি সামরিক ও বেসামরিক শতাধিক কর্মকর্তার উচ্ছ্বাস * দর্শক ও পাঠকের কাছে দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে যুগান্তর ও যমুনা টিভিকে ধন্যবাদ

বেসরকারি গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশন সম্প্রচার ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশনা কার্যক্রম ঘুরে দেখলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে (এনডিসি) অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের চলতি ২০২৪ সালের এনডিসি কোর্সের অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার দেশি-বিদেশি সামরিক ও বেসামরিক শতাধিক কর্মকর্তা যমুনা টিভি প্রাঙ্গণে আসেন। তারা বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সংবাদ প্রকাশ করায় যমুনা টিভি ও যুগান্তর পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তারা সামনের দিনে এ ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। জবাবে এ দুটি গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, দুটি গণমাধ্যমই দর্শক ও পাঠকের কাছে দায়বদ্ধ। ওই দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করে যাব।

এনডিসি কোর্সের অংশগ্রহণকারী শতাধিক কর্মকর্তার আগমন উপলক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে যমুনা টিভি প্রাঙ্গণে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যৌথভাবে যমুনা টিভি ও যুগান্তর পত্রিকা। এতে এনডিসি ফ্যাকাল্টি রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল ও মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদকে পৃথক সম্মাননা স্মারক তুলে দেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম ইসলাম, যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম ও যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ।

অন্যদিকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকেও যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম ইসলাম, যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম ও যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্মারক উপহার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে যমুনা টিভির সম্প্রচার এবং যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশনা কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয় তার ওপর পৃথক ডকুমেন্টারি ও উপস্থাপনা করা হয়। এনডিসি কোর্সে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা সম্প্রচারের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন। তারা গুজব ও অপপ্রচার কীভাবে যাচাই করা হয়-সেই বিষয়েও প্রশ্ন করেন। তাদের প্রশ্নের জবাব দেন দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, গণমাধ্যম হিসাবে গণমানুষের পাশে থাকতে চাই এবং থাকার চেষ্টা সব সময় করে থাকি। আমাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে-আমাদের ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। আমাদের দর্শক ও পাঠকের কাছে আমরা দায়বদ্ধ।

তিনি বলেন, যমুনা গ্রুপের দুটি গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশন ও যুগান্তর পত্রিকা যতদিন থাকবে, এই দায়বদ্ধতার মধ্যেই থাকবে। এই দায়বদ্ধতা কাঁধে নিয়ে চলবে। নির্ভার দায়িত্ব পালন করবে। পেশাগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, দৈনিক যুগান্তর ২৫ বছর ধরে চলছে। দীর্ঘ এই পথচলায় সবাই যেভাবে যুগান্তরের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী ফাহিম আহমেদ বলেন, মানুষের ব্যক্তিগত কথিত ফোনালাপ সম্প্রচারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো অনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করিনি। এজন্য অনেক চাপ সহ্য করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, নিউজ চ্যানেল হিসাবে ইউটিউবে যমুনা টিভি বিশ্বে এক নম্বরে রয়েছে। দীর্ঘদিন এভাবে প্রথম স্থানে থাকা নজিরবিহীন। যমুনা টিভির প্রতি দেশ-বিদেশে মানুষের ভালোবাসার ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

যমুনা টিভি প্রাঙ্গণে আসায় এনডিসিতে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ফাহিম আহমেদ বলেন, সারা দেশে এই কোর্সের অনেক সুনাম আছে। অনেক নামিদামি কোর্স হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যমুনা টেলিভিশন ও যুগান্তর পত্রিকা পরিদর্শনের জন্য নির্ধারণ করায় আমরা আনন্দিত এবং আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে আমাদের পাশে থাকবেন। এ ধরনের আয়োজন করায় এনডিসির পক্ষে ধন্যবাদ জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফ।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। সত্যের সন্ধানে নির্ভীক স্লোগানে দৈনিক যুগান্তর এবং সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলা প্রতিষ্ঠান যমুনা টেলিভিশন দেশে-বিদেশে নিরপেক্ষভাবে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এ দুটি গণমাধ্যম মানুষের কথা প্রকাশ করেছে। এজন্য তারা আমাদের ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

এ দুটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখার সুযোগ করে দেওয়ায় যমুনা গ্রুপ এবং এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যম কীভাবে কাজ করে থাকে তা বাস্তবে জানার সুযোগ পেলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদন মাসুদ করিম, যমুনা টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও প্ল্যানিং এডিটর রোকসানা আঞ্জুমান নিকোল প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জুলহাস জুবায়ের।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম