স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় দাবি
আলটিমেটাম সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কমিশন গঠন করে স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ফের আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তারা। সোমবার বিকালে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুর রহমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের এ ঘোষণার পর থেকে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় ও সায়েন্স ল্যাব মোড়ের যান চলাচল স্বাভাবিক হতে দেখা গেছে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন। পরে নীলক্ষেত থেকে সরে এসে সবাই শাহবাগে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত ছিল অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিল, সেটা বিগত ৭ বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এজন্য তারা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকতে চান না। দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বলে জানান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় তারা রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান।
পরে সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে। সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে শুধু সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে। সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। যাতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে নীলক্ষেত মোড় ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। পরে যানজট ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকার সড়কে। বিকালে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে আবার স্বাভাবিক হতে থাকে যান চলাচল।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. জুয়েল রানা বলেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না হয় পুলিশ সেই চেষ্টা করছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করেছে। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি যেন সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি না হয় ও অন্য কেউ আন্দোলনের সুযোগ নিতে না পারে।