Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কার্যকর সংস্কার চান চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা

এনবিআর সংস্কার কমিটিতে ব্যবসায়ী অন্তর্ভুক্তির দাবি

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এনবিআর সংস্কার কমিটিতে ব্যবসায়ী অন্তর্ভুক্তির দাবি

ব্যবসায়ী প্রতিনিধিহীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার কমিটি সার্বিক সংস্কারে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, ৯ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫ সদস্যের এনবিআর সংস্কার পরামর্শক কমিটি গঠিত হয়। কমিটির সবাই এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা। এখানে ব্যবসায়ী বা স্টেকহোল্ডারদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। যেসব কারণে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমসে কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, আইনি জটিলতা কোথায় আছে, ব্যবসা সহজ করার জন্য কী করা প্রয়োজন-সেসব বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার লোক নেই। তাই এনবিআরের কমিটিতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ যুগান্তরকে বলেন, এনবিআরের সংস্কারবিষয়ক কমিটিতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি না থাকায় কমিটি সমস্যা কতুটুকু চিহ্নিত করতে পারবে বা সমাধানের সুপারিশই কতটুকু বাস্তবসম্মতভাবে করতে পারবে তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আর যদি সেটা না হয় তবে সংস্কারের উদ্দেশ্যই ভেস্তে যাবে। চট্টগ্রাম যেহেতু বাণিজ্যিক রাজধানী, দেশের মোট রাজস্বের সিংহ ভাগ আসে এখান থেকে। তাই সংস্কার কমিটিতে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব সবচেয়ে জরুরি। আশা করছি সংস্কার কমিটি সে বিষয়গুলো বিবেচনা করবে।

সংস্কার কমিটিতে রয়েছেন-এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ ও নাসিরউদ্দিন আহমেদ, বাকি তিনজন হলেন সাবেক সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন (কর), ফরিদ উদ্দিন (শুল্ক) ও আমিনুর রহমান (কর)। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এনবিআরের সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কমিটির কাজের কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। কমিটির নেতৃত্বে কে থাকছেন সেটিও জানানো হয়নি।

সংস্কার কমিটির সচিব এনবিআরের সদস্য (বোর্ড প্রশাসন) মো. আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই কমিটি অর্থ উপদেষ্টার উদ্যোগে ও নির্দেশনা অনুযায়ী করা হয়েছে। কমিটি কাজ শুরু করেছে। এখানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি রাখা না রাখা তাদের এখতিয়ারে নেই।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সূত্রগুলো জানান, সংস্কারের জাতীয় আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। কারণ চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমসহ বিভিন্ন রাজস্ব আদায়কারী ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতির শেষ নেই। ব্রিটিশ আমলের পুরোনো আইনের কারণেও ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক ও ব্যবসায়ী নেতা মাহফুজুল হক শাহ কমিটি গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বন্দর কাস্টমসে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন না হলে, আধুনিকায়ন না হলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া যাবে না। কর ফাঁকিবাজ, দুর্নীতিবাজদের ধরতে হবে। ব্রিটিশ আমলের সব আইন এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এসব আইনে কাজের ক্ষেত্রে জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়। শিপিং এজেন্ট, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার ও অফডকগুলো এখনো আধুনিকায়ন হয়নি। অনলাইনে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায় না। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব কিছু আধুনিকায়ন করতে হবে। ৮০-৯০ বছরের পুরোনো আইনে এখনো রাজস্ব আদায় হয়। এসব কালাকানুনই দুর্নীতির প্রধান উৎস। ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় সহজ করতে হবে। অনলাইন করতে হবে। হয়রানিমুক্ত ব্যবসায়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূস বিনিয়োগবান্ধব। কিন্তু আইন-কানুনও বিনিয়োগবান্ধব ও সহজ না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। নামকাওয়াস্তে রিফর্ম হলে কোনো লাভ হবে না। যেই লাউ সেই কদুই হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম