Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বিএনপির মামলায় শমসের মবিন চৌধুরী গ্রেফতার

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপির মামলায় শমসের মবিন চৌধুরী গ্রেফতার

তৃণমূল বিএনপির নেতা শমসের মবিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুরে মো. শামীম হাওলাদার হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা রুবেল ওরফে চশমা রুবেলকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এছাড়া বগুড়ার শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সারিয়াকান্দিতে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার ও ব্যুরো থেকে পাঠানো খবর-

ঢাকা : ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শমসের মবিন চৌধুরীর বাসায় অভিযান শুরু করে ডিবি। একপর্যায়ে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে হাজির করা হয়। পল্টন থানায় বিএনপির করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছর ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহাসমাবেশ ভণ্ডুল করতে ব্যাপক হামলা ও ধরপাকড় করা হয়। ওই ঘটনায় চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বিএনপির পক্ষে পল্টন থানায় মামলা করা হয়। সেই মামলার তদন্তে শমসের মবিন চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপরই ডিবি পুলিশ তাকে আটক করতে বনানীর বাসায় অভিযান চালায়। প্রায় এক ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শমসের মবিন চৌধুরীকে বুধবার দুপুরে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমে তিনি নিজেই অভিযোগ করেছিলেন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। একটি গোয়েন্দা সংস্থার ক্লিয়ারেন্স না থাকায় তাকে যেতে দেওয়া হয়নি বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে।

শমসের মবিন চৌধুরী একসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপি নামে নতুন রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হন তিনি। মরহুম ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে দলটিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিরপুরে মো. শামীম হাওলাদার হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা রুবেল ওরফে চশমা রুবেলকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। বুধবার রাত সোয়া ৯টায় রূপনগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রুবেল রূপনগর থানা যুবলীগের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

তালেবুর রহমান বলেন, শামীম হাওলাদার হত্যার দায়ে ১৫ সেপ্টেম্বর রূপনগর থানায় মামলা করেন তার চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার। মামলার তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িত এজাহারভুক্ত আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০ জুলাই বিকালে রূপনগর এলাকার প্রশিকা মোড়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। এ সময় মিছিলরত ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের ছোড়া গুলি শামীম হাওলাদারের বুকে বিদ্ধ হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া : শাজাহানপুরে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি ককটেল ও চারটি হাঁসুয়া উদ্ধার এবং এমদাদুল হক নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট বামনদীঘিপাড়ার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম জানান, আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে।

এমদাদুল হক ফুলকোট বামনদীঘিপাড়ার আশরাফ আলীর ছেলে। তিনি আমরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়া তিনি প্রাণ কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার। আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার তাকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া সারিয়াকান্দির নাশকতা মামলার আসামি তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ধরা পড়েছেন। ডিবি পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জলেশ্বরীতলা কালীমন্দিরের পেছন থেকে তাদের গ্রেফতার করে। সন্ধ্যায় ডিবি ইনচার্জ মুস্তাফিজ হাসান এ তথ্য দিয়েছেন। গ্রেফতার তিন নেতাকর্মী হলেন সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি খোর্দ্দবলাইল গ্রামের সিরাজ ব্যাপারীর ছেলে আক্তারুজ্জামান ওরফে রাসেল ব্যাপারী, সাধারণ সম্পাদক দীঘাপাড়ার শহিদুল প্রামাণিকের ছেলে সুমন প্রামাণিক এবং ছাত্রলীগ কর্মী একই গ্রামের এফাজ উদ্দিনের ছেলে রাফিউল আলম ওরফে ডেভিট মিয়া। হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২ সেপ্টেম্বর সারিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় উল্লিখিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম