সাভারে ঝুট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে আ.লীগ বিএনপির গোলাগুলি

যুগান্তর প্রতিবেদন, সাভার
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকার সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট (কাপড়ের উচ্ছিষ্ট অংশ) ব্যবসা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার দি রোজ গার্মেন্টস লিমিটেডের কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির বিষয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পালটাপালটি অভিযোগ করেছেন।
আশুলিয়া থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, ১৭ বছর ধরে দি রোজ গার্মেন্টস কারখানার ঝুট ব্যবসা করে আসছেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যার ২৫টির অধিক মামলা হয়েছে। সরকার পতনের পর থেকে আমরা কারখানার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঝুট ব্যবসার বিষয়ে কথা বলেছি। কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের ব্যবসা দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে বুধবার বিকালে কারখানার সামনে গেলে আওয়ামী লীগের আরিফ মাদবর, রতন, তানভীর, গালকাটা জুয়েল, হান্নান ও পারভেজসহ ১০০-১৫০ জন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আমরা নিরাপদ স্থানে চলে যাই।
অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আ.লীগের এক নেতা বলেন, বর্তমানে আ.লীগের নেতাকর্মীরা সবাই আত্মগোপনে রয়েছে। এমন পরিস্থিতে আ.লীগের কর্মীরা অস্ত্র হাতে রাস্তায় বের হবে এটা হাস্যকর ও অবিশ্বাস্য। মূলত, আ.লীগের নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে বিএনপির নেতারা নতুন করে ফাঁদ পেতেছে। তাছাড়া ওই অস্ত্রধারী ব্যক্তিটিকে স্থানীয় লোকজন অবশ্যই চিনতে পারবে। তার মুখে মাস্ক পরা ছিল। তার দেহের গঠন দেখে অবশ্যই নিশ্চিত করা যাবে সে কোন দলের কর্মী।
দি রোজ গার্মেন্টস কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, দুই মাস ধরে বেশ কিছু লোক কারখানায় এসে ঝুট ব্যবসা দিতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু আগের ব্যবসায়ীদের কাছে বেশকিছু টাকা বকেয়া থাকার কারণে অন্য কারও সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন চুক্তি করতে গেলে আমাদের বকেয়া টাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ফলে নতুন করে কারও সঙ্গে ঝুট ব্যবসার চুক্তি করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।