বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। দেশ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘চক্রান্ত ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। এবারের দুর্গাপূজায় কোথাও কি অশান্তি হয়েছে? কোনো অশান্তি হয়নি। বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এমনকি দেশের মাওলানা যারা হুজুর তারা পর্যন্ত পূজামণ্ডপ পাহারা দিয়েছেন। এ দেশে মুসলমান, হিন্দু যারা যুগ যুগ ধরে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। এখন এক শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছে তারা অপেক্ষায় থাকেন কী করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা নেই এই কথাটি বলা যায়। বুধবার দুপুরে রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।’

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের কোনো মন্দিরে কোনো পূজামণ্ডপে একটি গাছের পাতাও পড়েনি, অতীতের চেয়ে অনেক শান্তিপূর্ণভাবে পূজা হয়েছে। আর সেই দিল্লি থেকে বলে দিলেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংশয়ের কথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয, তা গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।

ভারতের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, এত সুন্দর একটি পূজা উৎসব হয়ে গেল তারপরও বলছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনারা উদ্বিগ্ন।

ভারতের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে বলতে চাই আপনার পশ্চিমবাংলার বর্ধমান একটি জেলা, ওটাও আরেকটি বাংলা, যেটা ভারতের মধ্যে। সেখানেও এই রকম একটা ঘটনা হয়েছে মুকুট চুরি। কই সেই বিষয়ে তো দিল্লির নীতিনির্ধারকরা কোনো কথা বললেন না? ওখানকার পররাষ্ট্র দপ্তর তো একটা বিবৃতি দিল না?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, সতর্ক থাকুন। ভয়ংকর ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হবে। শেখ হাসিনা বসে নেই। ভিডিওতে তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুঁড়িয়ে দাও।

রিজভী আরও বলেন, সালমান এফ রহমানের ন্যায় বড় সাপের থেকেও বিষধর ছোট সাপ তথা আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনও বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে। এদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। মন্থর গতিতে চলতে থাকা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের সাবেক নেতা ইউনুস মৃধা, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবির, আরিফুর রহমান তুষার, যুবদলের মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের ডা. আউয়াল প্রমুখ।