Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বাজার সিন্ডিকেটে জড়িতদের গ্রেফতার করুন: রিজভী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাজার সিন্ডিকেটে জড়িতদের গ্রেফতার করুন: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে হবে। মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে। এখনো বাজার সিন্ডিকেট যারা করে আসছে, তাদের কেন ধরছেন না? কেন পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, সয়াবিন তেলের দাম বাড়বে, কেন সবকিছুর দাম বাড়বে? সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতার করে জনগণকে স্বস্তি দিন।’

রাজধানীর উত্তরার আজমপুরের আমির কমপ্লেক্সের সামনে মঙ্গলবার ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। পরে রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ পুলিশের উপপরিদর্শককে (এসআই) বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। এরা কেউ নিরপেক্ষ নন। তারা সবাই শেখ হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। বাকিগুলো ছাত্রলীগ ও যুবলীগের। এছাড়া এএসপি আছেন ৬২-৬৩ জন, তারাও শেখ হাসিনার আমলের।

বিএনপির এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা গোটা দেশকে যেন গণকবরে পরিণত করেছিল। তার সেই গণকবরে আর এ দেশের জনগণ যেতে চায় না। না ছিল ন্যায়বিচার-আইনের শাসন, না ছিল কথা বলার স্বাধীনতা। আয়নাঘরে সাত বছর, নয় বছর রাখা হয়েছে। কত লোক যে ধরে রেখেছে, সেখান থেকে চিরদিনের জন্য অদৃশ্য করে দিয়েছে, তার কোনো ঠিক নেই।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছে। সেখানে রিকশাচালক নিহত হয়েছেন? তার পরিবার খাবে কী? আমি ১৪ জন নিহত রিকশাওয়ালার বাড়িতে গিয়েছি। আরও কত যে শ্রমিক মারা গেছেন। তাদের উপার্জনের কেউ নেই। এগুলো আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে। শুধু নিরপেক্ষতার কথা বলে চুপচাপ থাকলে মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত থাকবে না।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, আমরা চাই অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেবে। ১৫ বছর ধরে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, তারা ভোট দিতে চায়। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিবেন।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, মানুষের সেবা এবং মানুষের জীবন রক্ষাই হলো আমাদের প্রধান কর্তব্য। এ কর্তব্যকে সামনে রেখে ডেঙ্গুর ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে আবারও রাজপথে সম্মিলিতভাবে আমরা বাড়িতে বাড়িতে যাব। ডেঙ্গুবিরোধী কর্মসূচিকে সফল করব।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক নেতা আক্তার হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, মোস্তফা জামান, এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ, এসএম জাহাঙ্গীর, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, উত্তর যুবদলের সাজ্জাদুল মিরাজ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আরিফুর রহমান তুষার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. আউয়ালসহ উত্তরের সাতটি থানা ও সব ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম