প্রোটিন গবেষণায় এ বছর রসায়নে নোবেল জিতেছেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন জাম্পার নামে তিন বিজ্ঞানী। এর মধ্যে বেকার ও জাম্পার যুক্তরাষ্ট্রের এবং হাসাবিস যুক্তরাজ্যের নাগরিক। বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বাং ল্লাদেশ সময় বে ল্লা ৩টা ৪৫ মিনিটে রসায়নের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।

একাডেমি জানিয়েছে, কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য এই পুরস্কারের অর্ধেক পেয়েছেন বেকার। আর প্রোটিনের গঠন অনুমানের জন্য বাকি অর্ধেকটা পেয়েছেন হাসাবিস ও জাম্পার। পুরস্কারের এক কোটি ১০ ল্লাখ সুইডিশ ক্রোনারের অর্ধেক পাবেন বেকার। আর বাকি অর্ধেক হাসাবিস ও জাম্পার সমানভাবে ভাগ করে নেবেন।

সংস্থাটি আরও বলেছে, জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ প্রোটিনকে প্রাধান্য দিয়ে এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়া হয়েছে। বেকার একেবারে নতুন ধরনের প্রোটিন তৈরি করেছেন, যা অনেকটা অসম্ভব বিষয় ছিল। অপরদিকে হাসাবিস ও জাম্পার এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করেছেন, যা দিয়ে ৫০ বছরের পুরোনো ‘প্রোটিনের জটিল কাঠামো অনুমান করার’ সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়েছে।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি জানিয়েছে, এবারের নোবেল বিজয়ীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও গণনার মাধ্যমে প্রোটিনের পুরো বিষয়টি খো ল্লাসা করেছেন, যা সব রসায়নবিদের স্বপ্ন ছিল। আর এ স্বপ্ন এখন সত্যি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে।

ডেভিড বেকার যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক। ডেমিস হাসাবিস যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা, তিনি গুগলের ডিপমাইন্ড প্রজেক্টে কাজ করছেন এবং জন জাম্পারও হাসাবিসের মতোই গুগলের ডিপমাইন্ডের গবেষক।

গত বছর ন্যানো টেকনোলজির গবেষণায় কোয়ান্টাম ডটস নামের অতি ক্ষুদ্র ন্যানো পার্টিকেল উদ্ভাবন ও উন্নয়নের স্বীকৃতিতে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মুঙ্গিয়া জি বাবেন্দি, লুইস ব্র“স এবং অ্যালেক্সি একিমভ রসায়নে নোবেল পান।

আজ সাহিত্য এবং কাল শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। সবশেষ ১৪ অক্টোবর অর্থনীতি বিভাগে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি।

১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতিবছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যÑএই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এ ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।