Logo
Logo
×

শেষ পাতা

যুগান্তরকে ইউজিসির চেয়ারম্যান

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দলীয় নয়, মেধায়

Icon

হুমায়ুন কবির

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দলীয় নয়, মেধায়

অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) উচ্চশিক্ষার সামগ্রিক বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান রক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব থাকলেও সেটি দীর্ঘদিন উপেক্ষিত। বিগত দিনে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষার চেয়ে রাজনীতির চর্চা হয়েছে বেশি। এতে পড়াশোনায় বিমুখ ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দেশের তরুণরা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। তাই মানসম্পন্ন শিক্ষা ও পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন ইউজিসির মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে যাতে হয়, তা নিশ্চিতে সরকারকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ বা পরামর্শ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি হতে হবে-শিক্ষার্থীদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে কথা বলা, মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করা-এসব বিষয়েও দেওয়া হবে জোরালো সুপারিশ। একই সঙ্গে মৌলিক ও উপযোগী গবেষণা করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করার বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। আর শিক্ষকদের যদি রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকে, তা কোনোভাবেই শিক্ষায় এবং শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব ফেলানো যাবে না। ইউজিসির নতুন চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ যুগান্তরকে এসব কথা বলেন। সম্প্রতি তার নিজ কার্যালয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক গুণগতমান নিশ্চিতে ইউজিসির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার নানা দিক তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হুমায়ুন কবির।

যুগান্তর : উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন। কোন বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দেবেন?

এসএমএ ফায়েজ : চ্যালেঞ্জ মানে সুযোগ তৈরি করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে যখন দায়িত্বে ছিলাম, তখনও বেশ চ্যালেঞ্জ ছিল। ভালো কিছু করতে পারলে একধরনের আনন্দ পাওয়া যায়। কাজের মাধ্যমে আমি সেটি অনুভব করেছি। দলমতনির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি আমার বয়স নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু তরুণরা দেশের জন্য যা করেছে, সেটি কল্পনার বাইরে। তারা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে, উপহার দিয়েছে নতুন বাংলাদেশ। বিশেষ করে মেয়েরা এত ত্যাগী ও সাহসী হতে পারে, তা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। তবে তাদের ওপর দেশের মানুষের আস্থা ছিল। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এসব দেখে মনে হলো, যদি তাদের নতুন কিছু দিতে পারি, তাই এগিয়ে এসেছি। এখন ইউজিসিকে একটা সম্মানের জায়গায় এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে নেওয়াই হবে প্রথম চ্যালেঞ্জ। সেজন্য দলবব্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তদারকির চেয়ে সহযোগিতা করাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেটিই করতে চাই।

যুগান্তর : দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। সেটি নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

এসএমএ ফায়েজ : এখনকার তরুণ শিক্ষার্থীরা খুব মেধাবী। তাদের কাছে সমাজের প্রত্যাশার জায়গা দিনদিন বাড়ছে। প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে তারা দেশ ও বিশ্বকে নতুন কিছু দিতে পারবে। পাশাপাশি মৌলিক গবেষণার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। এছাড়া গবেষণা খাতে সরকারি বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি অ্যালামনাইদেরও এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যাতে দেশ ও জাতি উপকৃত হয়। এতে গবেষণার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে শিক্ষক ও উপাচার্যদের স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে। ভালো কাজ হলে স্বীকৃতি পাবে।

যুগান্তর : দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান রক্ষায় কী উদ্যোগ নিবেন?

এসএমএ ফায়েজ : দেশের বিশ্ববিদ্যালগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ করা ইউজিসির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যারা খুব সুনামের সঙ্গে শিক্ষার মান ধরে রেখেছে। পাশাপাশি পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার মতোও পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আবার অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে নামমাত্র। শুধু অবকাঠামো আছে; কিন্তু মান বলতে কিছুই নেই। আবার কোথাও কোথাও উপাচার্য দূরের কথা, ভালো মানের কোনো শিক্ষকও নেই। এগুলো নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদান, শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন ও গবেষণায় কোনো অবহেলা রাখা যাবে না। সেজন্য স্ব স্ব বিভাগ, একাডেমিক কাউন্সিল ও উপাচার্যকে বিষয়গুলো তদারকি করতে হবে। যাদের এসব জায়গায় ঘাটতি আছে, তারা যেন বাইরে কোথাও ক্লাস নিতে না পারে, সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে দুজন পূর্ণকালীন সদস্য পেয়েছি। আশা করি, দ্রুত আরও তিনজন সদস্য পেয়ে যাব। সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে সমস্যা সমাধান করে এগিয়ে যাওয়া যায়।

যুগান্তর : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উপাচার্য নিয়োগে মানদণ্ড কেমন হওয়া উচিত?

এসএমএ ফায়েজ : শিক্ষক নিয়োগে দলীয় বিচেনায় না রেখে মেধাকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। বিগত দিনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থীর মেধার মূল্যায়ন করা হয়নি। রাজনৈতিক দিকটা বেশি মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে তারা শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে ভোটার নিয়োগ দিয়েছেন। সামনের দিনে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করবে ইউজিসি। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া উপাচার্য পদের প্রতি যার সম্মানবোধ আছে, তাকে অনুরোধ করে আনতে হবে। আর যার এ পদে আগ্রহ বা ইচ্ছা আছে, তাকে বাদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে বয়স কোনো বিষয় নয়। যোগ্য যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে। বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টা খুব গুরত্বসহকারে দেখছেন।

যুগান্তর : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রাজনীতি নিয়ে আপনার অভিমত কী?

এসএম এ ফায়েজ : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের ওপর আস্থা রাখাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু শিক্ষায় ও শিক্ষার্থীদের ওপর এর যেন প্রভাব না পড়ে। দলমতনির্বিশেষে তিনি একজন শিক্ষক। একইভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এটাই হওয়া উচিত। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ ধারণ করা দোষের কিছু নয়। তবে তাদের কর্মকাণ্ডে যেন এর প্রতিফলন না ঘটে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সেই রাজনীতির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের হতে পারেন। তবে দলমতনির্বিশেষে তিনি সবার, এটাই মাথায় রাখতে হবে। বিগত দিনে ছাত্ররাজনীতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এটা কেউ পছন্দ করেননি। এটা একধরনের দাসত্বে পরিণত হয়েছে। ছাত্ররাজনীতি মানে হলো শিক্ষার্থীদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে কথা বলা, মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। এটা যদি উদ্দেশ্য হয় সবাই পছন্দ করবে।

যুগান্তর : কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগিং নামে নবীন শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করার প্রবণতা রয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

এসএমএ ফায়েজ : র‌্যাগিং কিছু কিছু জায়গায় ঘটেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কমে আসছে। র‌্যাগিংয়ের নামে ছাত্রদের ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করা হয়। এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। বিষয়টি উপাচার্যদের সিরিয়াসলি দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা অনেক মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন।

যুগান্তর: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

এসএমএ ফায়েজ : গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা যদি স্বচ্ছভাবে হয়, তাহলে এটা রাখার একটা যৌক্তিকতা আছে। এখানে যেন কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়, সেটি দেখতে হবে। সেজন্য এ দায়িত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে দিতে হবে। দেশের স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, এগুলো আলাদা অধ্যাদেশে পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর ইউজিসি কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। তাদের নিজস্ব সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে সবকিছু তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এছাড়া সরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে গুচ্ছতে যেতে অস্বীকৃতি জানালে এক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

যুগান্তর: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অতিরিক্ত ফি কমানোর কোনো উদ্যোগ নিবেন কি না?

এসএমএ ফায়েজ : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যারা উচ্চাশিক্ষার জন্য আসেন, তাদের মধ্যে অনেকের বাবা আছেন কৃষক। এমনও রয়েছেন নাইটগার্ডের চাকরি করেন। কেউ কেউ অতি দরিদ্র পরিবার থেকে পড়াশোনা করতে আসেন। কিন্তু তারা অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন। উচ্চশিক্ষা অর্জনে তাদের সব সম্বল বিক্রি করতে হবে-এমন তো হতে পারে না। ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি আমরা গুরত্বসহকারে দেখভাল করব।

যুগান্তর : ইউজিসি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

এসএমএ ফায়েজ : অনেকে বলেন, ইউজিসির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা উচিত। আমি তা মনে করি না। এটা ক্ষমতার জায়গা নয়। এটা সহযোগিতার জায়গা, সম্মানের জায়গা। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন। কিন্তু তারা যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা পান না বলে দেশে ভালো কিছু করতে পারেন না। অথচ আমাদের শিক্ষার্থীরা বিদেশে গিয়ে খুব ভালো করছেন। উচ্চশিক্ষায় যারা বিদেশে যান, তাদের কিছুসংখ্যক ফেরত এলেও বাকিরা আর আসেন না। যারা আসেন না, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ তৈরি করতে হবে। বিশ্বের বড় বড় আইটি সেক্টরে ভারতের লোকজন কাজ করেন। তারাই ভারতের আইটি সেক্টরকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমরাও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার চেষ্টা করব।

যুগান্তর : দেশের ৩৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ শূন্য। এটার সমাধান কী?

এসএমএ ফায়েজ : কিছুই নেই অথচ নামের ওপর ভিত্তি করে চলছে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের চলার মতো কোনো সক্ষমতা নেই, ভালোমানের কোনো শিক্ষক নেই এবং নিজস্ব কোনো ক্যাম্পাস নেই; সেগুলোর ব্যাপারে আমরা আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজন হলে ভালো মানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরামর্শ নেব। আর যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নেই, সেগুলো নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন। দ্রুত এটার একটা সমাধান হয়ে যাবে।

যুগান্তর : বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের কোনো নীতিমালা তৈরি করবেন কি না?

এসএমএ ফায়েজ : এ ধরনের একটা নীতিমালা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ইউজিসির এখনো তিনজন পূর্ণকালীন সদস্য নিয়োগ হয়নি। সব সদস্য নিয়োগ পেলে আমরা এসব বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

যুগান্তর : সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফির ব্যবধান কমানোর কোনো উদ্যোগ নিবেন কি না?

এসএমএ ফায়েজ : এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক দায়ব্ধতা থেকে কাজ করে থাকেন। তাদের শিক্ষার নামে ব্যবসা করা ঠিক নয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে, যেটি উচিত নয়। বিষয়গুলো আমরা খুব গুরুত্বসহকারে দেখব।

যুগান্তর : দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একই অধ্যাদেশের আওতায় আনার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিবেন কি না?

এসএমএ ফায়েজ : এ মুহূর্তে সরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয় একই অধ্যাদেশে আনা কঠিন। তবে আমরা চেষ্টা করব। দেশের ৫৫ সরকারি বিশ্ববিদ্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে চারটি স্বায়ত্তশাসিত আর বাকিগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই একই ধরনের আইনচর্চা করে থাকেন।

যুগান্তর : বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে ইউজিসি কমিটি গঠন করেছে। কী ব্যবস্থা নেবেন?

এসএমএ ফায়েজ : ইউজিসি থেকে যেসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমাদের কমিশনের একজন সদস্য কাজ করছেন। পূর্ণ কমিশন গঠন হয়ে গেলে আমরা এসব তদন্তের রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থা নেব। এটি আমরা খুব গুরুত্বসহকারে দেখব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম