টানা ৪ দিন ছুটি
পূজা উপলক্ষ্যে কালও ছুটি নির্বাহী আদেশে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশে পূজার ছুটি বাড়ল এক দিন। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আগামী রোববারের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবারও সাধারণ ছুটি থাকবে। নির্বাহী আদেশে বৃহস্পতিবার ছুটির ঘোষণা দিয়ে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ফলে দুই দিন পূজার ছুটি মাঝখানে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে বোববার টানা চার দিন ছুটি থাকছে।
বুধবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে নির্বাহী আদেশে বৃহস্পতিবার ছুটি থাকার বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, দেশের সব সরকারি ও আধাসরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এ ছুটি থাকবে।
এদিকে দুর্গাপূজায় স্কুল-কলেজ টানা ১১ দিন ছুটি থাকছে। শারদীয় দুর্গাপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে স্কুল-কলেজে টানা ৯ দিন ছুটি থাকবে। মাঝে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে টানা ১১ দিন। বছরের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করা হয়। এতে এ ছুটির কথা বলা হয়েছে। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হবে ৯ অক্টোবর, চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ১৭ অক্টোবর স্কুল-কলেজ খোলার পর তার পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে।
তবে সরকারি ছুটি থাকলেও সেবা সংক্রান্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, স্থলবন্দর, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট এবং ডাটা পরিসেবা চালু থাকবে। এসব সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত যানবাহন ও কর্মী ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। জরুরি হাসপাতাল সেবা, জরুরি সেবা, সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মীরা এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতামুক্ত থাকবেন। এছাড়া জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতামুক্ত থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পৃথক আদেশ জারি করবে। অধস্তন আদালত পরিচালনার বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।