Logo
Logo
×

শেষ পাতা

নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা গণপিটুনিতে নিহত

ভিডিও ভাইরাল

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা গণপিটুনিতে নিহত

নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা গণপিটুনিতে নিহত

নোয়াখালীর সদর উপজেলার চরমটুয়ায় উচ্ছৃঙ্খল জনতার পিটুনিতে এক যুবলীগ নেতা নিহত এবং আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মো. আব্দুস শহীদ (৪৩) উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামের মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।

তবে পুলিশ বলছে, নিহত শহীদ আগে থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদিকে শহীদকে রশি দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় বেধড়ক পেটানোর ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, পাকা মেঝেতে হাত বাঁধা অবস্থায় ফেলে শহীদকে মোটা লাঠি দিয়ে পায়ের মাংসপেশি লক্ষ্য করে পেটাচ্ছে এক যুবক। আরেকজন এক হাতে মোবাইল ফোন, অন্য হাত দিয়ে শহীদের হাতে বাঁধা রশি খুলছে। এরপর লাঠি হাতে থাকা আরেক তরুণ তার মাথায়, মুখে লাথি মারছে।

পুলিশ জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল মুহুরিবাড়ি স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘেরাও করে একটি পাইপগানসহ আব্দুস শহীদ, মো. জামাল হোসেন (৪২), মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ হোসেন (৩৬) নামে ৪ জনকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ১টি পাইপগানসহ ৪ যুবককে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পরে আহত শহীদকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বজনরা জানান, সরকার পরিবর্তনের পর শহীদসহ তার সহযোগীরা এলাকা থেকে আত্মগোপনে চলে যান। দুদিন আগে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সাল বারী চৌধুরী তাদের অভয় দিয়ে এলাকায় ফিরিয়ে আনেন। এর একদিন পরই বিএনপি সমর্থকরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

অন্যদিকে নিহত মো. আব্দুস শহীদকে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে জানানো হয়েছে, বিএনপির সন্ত্রাসীরা আব্দুস শহীদকে পিটিয়ে মেরেছে। শহীদের মৃত্যুর আগে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে অস্ত্রসহ গ্রেফতার দেখানো হয়। ততক্ষণে তার জীবন প্রায় নাই বললেই চলে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির লোকজন এ ঘটনায় জড়িত, কথাটা ঠিক নয়। সে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল। স্থানীয়রা তাকে আটক করে মারধর করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ছাত্র-জনতা ঘেরাও করে ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করে। শহীদ গণপিটুনিতে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। আটক সবাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, এ ঘটনায় এলাকার দফাদার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা ও পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র আইনে মামলা করেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম