Logo
Logo
×

শেষ পাতা

আইএমএফের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক

আরও ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আরও ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক ও রাজস্ব খাত সংস্কার এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ অবহিত করা হয়েছে ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রতিনিধিকে। তাদের জানানো হয় একটি কমিশন গঠন করে ব্যাংক খাত সংস্কার করা হবে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে গঠন করা হবে টাস্কফোর্স। পাশাপাশি রাজস্ব খাতেও সংস্কার হবে। আর্থিক খাতে এসব সংস্কারের কথা তুলে অর্থ উপদেষ্টা বাড়তি ঋণ চেয়েছেন সংস্থারটি কাছে। তবে সংস্থাটি কত টাকা ঋণ দেবে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি। তারা বলেছে, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সংস্কারে অন্যান্য দাতা সংস্থার অর্থায়নের পরিমাণ জেনেই আইএমএফ সিদ্ধান্ত নেবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। আইএমএফের প্রতিনিধিদল সোমবার ঢাকায় এসেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন এর প্রতিনিধিরা। প্রথম দিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের আধিক্য ও ঋণের নামে টাকা লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক খাতের অবস্থা তুলে ধরা হয়। এছাড়া দেশের মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী হার, রাজস্ব আহরণে ভাটা, ভর্তুকির অঙ্ক বেশি এবং বাজেট ঘাটতি নিয়ে আলোচনা হয়। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার প্রসঙ্গেও প্রতিনিধিদল জানতে চায়। এছাড়া সম্প্রতি দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রসঙ্গ ওই বৈঠকে তুলে ধরা হয়। বৈঠকে তুলে ধরা হয়, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনাসহ ব্যাংক খাতে সংস্কার, রাজস্ব খাতের সংস্কারের কথা। ব্যাংক খাতে সংস্কারের আওতায় একটি কমিশন গঠন করার বিষয়টি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ও রাজস্ব খাত সংস্কার এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধে অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তবে ঋণের অঙ্ক এখন চূড়ান্ত হয়নি। অক্টোবরে আমরা বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দেব। সেখানে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে এ ঋণ নিয়ে আলোচনা হবে। বর্তমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের চলমান ঋণ কর্মসূচি নিয়েও আলাপ হবে। ওই সময় ভবিষ্যতের জন্যও আমরা আরও ঋণের অনুরোধ করব।

বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। ঋণের তৃতীয় কিস্তি ইতোমধ্যে ছাড় করছে। ডিসেম্বরে ছাড় করা হবে চতুর্থ কিস্তি। এরই মধ্যে বাড়তি ঋণ চাওয়া হয়েছে। বাড়তি ঋণের অঙ্ক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন কত ঋণ চাওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্য দাতা সংস্থাগুলো কী পরিমাণ সহায়তা দেবে, সেটা জানার পর আইএমএফকে সহায়তার অঙ্ক জানানো হবে।

গত সপ্তাহে অর্থ উপদেষ্টা আইএমএফের ঋণ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা আরও ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চাইব সংস্থাটির কাছে।

বৈঠক প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা রকম সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সম্পদ (অর্থ) দরকার। আমরা যতটুকু পারি দেশীয় সম্পদ আহরণ করব; কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তা লাগবে।’ যেসব ক্ষেত্রে বিদেশি সহায়তা লাগবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো বাজেট সহায়তা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সম্পদের ঘাটতি (রিসোর্স গ্যাপ) কতটা আছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও বিশদ আলোচনা হবে। নীতি ও মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা করবে। বিদেশি মুদ্রার বাজার ও ব্যাংক খাত সংস্কারে কী করতে হবে, সেটাও জানাবে আইএমএফ।

সূত্রমতে, ঢাকা সফরকালীন আইএমএফ প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, অর্থ সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। এছাড়া বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, দ্বিপাক্ষিক দাতা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও বৈঠক করবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম