তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক
সম্পর্ক এগিয়ে নেবে বাংলাদেশ ও ভারত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা ও দিল্লির পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর একমত হয়েছেন তারা।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠক করেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এদিকে তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জয়শঙ্কর তার এক্স পোস্টে লিখেছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বৈঠক করেছি। আলোচনায় আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অগ্রাধিকার পেয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা যায় নানা ইস্যুতে। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রথম ভারতীয় উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক এটি।
ব্যস্ত ও সংক্ষিপ্ত সফরসূচির কারণে হয়নি মোদি-ইউনূস বৈঠক -ভারতের পররাষ্ট্র সচিব : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য বৈঠক বাতিল হয়েছে। এবার নয়াদিল্লি বৈঠকটি না হওয়ার কারণ জানিয়েছে। এনডিটিভি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যস্ততম ও সংক্ষিপ্ত সফরসূচির কারণে দুই নেতার বৈঠক হয়নি। তাছাড়া অভিন্ন সময়ে তারা নিউইয়র্কে অবস্থানও করেননি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সফর শেষ করে যখন দেশে ফিরেছেন; বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তখন নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
আগেরদিন সোমবার তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই সংক্ষিপ্ত সফরে নিউইয়র্কে যান। তার সফরের মেয়াদ ছিল মাত্র ৫৫ ঘণ্টা ও কয়েক মিনিট আগে তিনি নিউইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এখনও নিউইয়র্কে পৌঁছাননি। যেহেতু উভয়ের সফরসূচি ভিন্ন ছিল, তাই এবার তাদের মধ্যে বৈঠকের কোনো সুযোগ ছিল না।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু সংক্ষিপ্ত শিডিউল ও ব্যস্ততার কারণে সেই বৈঠকও বাতিল হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্ভাব্য বৈঠক বাতিল হওয়ার পর সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার কারণে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ঘনিষ্ঠ মিত্র নরেন্দ্র মোদি।