Logo
Logo
×

শেষ পাতা

রাজবাড়ী ও ফেনীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৩

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজবাড়ী ও ফেনীতে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৩

রাজবাড়ী ও ফেনীর পরশুরামে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পরশুরামে বৃহস্পতিবার বিকালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় অপরপক্ষের লোকজন হামলা করে। পরে রাতে দুপক্ষের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। একইদিন রাজবাড়ীতে সংঘর্ষে আহত হন ৮ জন। এ সময় দোকানপাট ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফেনী : পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামে বৃহস্পতিবার বিকালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ টাকা প্রদানের অনুষ্ঠান ছিল বিএনপির একপক্ষের। পরশুরাম উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল আবছারের সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর ব্যানারে এ অনুষ্ঠান হয়। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম সরকারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবদলের একটি পক্ষ সেখানে হামলা চালায়। তারা অনুষ্ঠানস্থলের চেয়ার ভাঙচুর করে। এতে ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদলের ইমন, আইয়ুব, রাব্বি, শাহাদাত, লিমন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুবার বাজারে রাতে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় শাহিন, দিদার, আবুল হাশেম, রনি আলামিন, মোবারক, রাজন, সোহেলসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ছবি তোলার চেষ্টা করলে স্থানীয় এক সাংবাদকর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলার হুমকি এবং গালাগাল করে তারা।

পরশুরাম উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইব্রাহিম খলিল মনি যুগান্তরকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ছাত্রদলের দুপক্ষের মাঝে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। পরে বিষয়টি স্থানীয় নেতারা সমাধান করে দিয়েছেন।

রাজবাড়ী : চন্দনী বাসস্ট্যান্ড বাজারে বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির খৈয়ম গ্রুপের যুবদলের নেতাকর্মীদের সভা ছিল। একই সময় সেখানে আসলাম গ্রুপের লোকজন সভা করতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় দোকানপাটসহ ৪-৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন-আসলাম গ্রুপের উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, চন্দনী ইউনিয়নের সোরাব মণ্ডলের ছেলে শামীম, মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে আরাফাত ইসলাম রাফি ও সুভাষের ছেলে শশী। তারা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া খৈয়ম গ্রুপের মো. কামরুল, মো. খোকন, মো. বাচ্চু ও রইচ গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান যুগান্তরকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম