পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) ১৬ সেপ্টেম্বর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশের আকাশে বুধবার ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শুরু হয়েছে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা। সে হিসাবে ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) পালিত হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। ১২ রবিউল আউয়াল মানব জাতির শিরোমণি মহানবি হজরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের দিন।
এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) নামে পরিচিত। প্রায় ১ হাজার ৪০০ বছর আগে এ দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। নানা ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মুসলমানরা দিনটি পালন করে থাকেন।
এক সময় গোটা আরব জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলেন। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিলেন। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রেরণ করেন এই ধরাধমে।
বুধবারের সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয়ভাবে মিলাদুন্নবি পালন চায় আলেমরা : রাষ্ট্রীয়ভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি পালনের দাবি জানিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত। সংগঠনটির লিয়াজোঁ কমিটির পক্ষে বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময়ে তারা বলেন বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (স.) জীবনাদর্শই আমাদের জীবনের মডেল। শান্তি, সহমর্মিতা এবং মানবতার মূর্তপ্রতীক হিসাবে মহান আল্লাহ তাকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আ.ন.ম. মাসউদ হোসাইন আল-কাদেরী, আবুল কাসেম ফজলুল হক, খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, অধ্যাপক এম.এ. মোমেন এবং মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। এ সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবি করেন তারা।