Logo
Logo
×

শেষ পাতা

যুগ্মসচিব পদে ২০১ কর্মকর্তার পদোন্নতি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যুগ্মসচিব পদে ২০১ কর্মকর্তার পদোন্নতি

পদোন্নতিবঞ্চিত ২০১ জন উপসচিবকে যুগ্মসচিব হিসাবে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ও প্রশাসন ছাড়া অন্যান্য ক্যাডার (আদার্স) কর্মকর্তারা এ যাত্রায় পদোন্নতি পেলেন। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ১৬০ জন এবং আদার্স ক্যাডারের ৪১ কর্মকর্তা রয়েছেন। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আদেশে নবম ব্যাচের আদার্স ক্যাডারের ১ জন, প্রশাসন ক্যাডারের ১০ ব্যাচের ৩ জন, ১১তম ব্যাচের ৯ জন, ১৩তম ব্যাচের ৯ জন, ১৫তম ব্যাচের ২০ জন, ১৭তম ব্যাচের ৭ জন এবং ২১তম ব্যাচের ১৬ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। এর আগে ১৩ আগস্ট পদোন্নতিবঞ্চিত ১১৭ কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার।

যুগ্মসচিব হিসাবে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা এত দিন উপসচিব ও সমপর্যায়ের পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। যে তারিখ থেকে এ কর্মকর্তাদের কনিষ্ঠ কর্মকর্তারা তাদের ছাড়িয়ে উপরের ধাপে পদোন্নতি পেয়েছেন, সেই তারিখ থেকে তাদের পদোন্নতি কার্যকর হবে এবং তারা বকেয়া আর্থিক সুবিধা পাবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর অথবা ই-মেইলে যোগদানপত্র জমা দিতে পারবেন। তাদের মধ্যে কোনো কর্মকর্তার কর্মস্থল দপ্তর বা কর্মস্থল পরিবর্তন হয়ে থাকলে কর্মরত দপ্তরের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে যোগদানপত্র জমা দিতে হবে। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনোরকম বিরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে জারি করা আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন বা বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।

বঞ্চিত একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, আর কখনও পদোন্নতি হবে-এটা কল্পনাও করিনি। কারণ, আমাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে নিয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে পদোন্নতি বঞ্চিত করেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আমাদের ব্যাচমেটরা। সরকারপ্রধান বা মন্ত্রী তো আমাদের চেনাজানার কথা না। আমার পছন্দ-অপছন্দ বন্ধুর চেয়ে অন্য কেউ বেশি জানার কথা নয়।

অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, মনে হয় বুকের ওপর থেকে পাথর সরে গেছে। ভালো করে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতো। কোনো কারণ ছাড়া অপমান-অপদস্থ হতে হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা মনে করতেন কোনো বড় ধরনের আত্মসাৎ বা তছরুপের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। মহান আল্লাহ আমাদের প্রতি সদয় হয়েছেন-তার প্রতি লাখো কোটি শোকরিয়া।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে সচিবালয়ে পদ, পদবি ও পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তৎপরতা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বিষয়টি উদারতার সঙ্গে বিবেচনা করছে।

পদোন্নতিপ্রাপ্তরা হলেন : মো. আবু মাসুদ (৫৫২৯), ড. সিতারা বেগম (৫৬৩৩), ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম (৫৬৯০), মো. কামাল উদ্দিন (৫৬৯৭), আহমাদুল হক (৫৭১২), মো. রেজাউল কবীর (৫৭৪১), মো. নজরুল ইসলাম (৫৭৫৬), মো. ইমামউদ্দীন কবীর (৫৭৬৫), মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়া (৫৮০৭), মোহা. মনিরুজ্জামান (৫৮৩৬), এস.এম. মঈন উদ্দিন আহমেদ (৫৮৩৭), সেকান্দার হায়াত রিজভী (৫৮৯৫), মো. আলীম আখতার খান (৫৯৩৫), মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (৫৯৪০), মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (৫৯৫৩), মো. ফজলুল কবীর (৫৯৬২), মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল (৬০১০), খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান (৬০১১), মো. আবু বকর ছিদ্দিক (৬০১৪), মো. মিজানুর রহমান (৬০৬৩), শেখ মতিয়ার রহমান (৬২৬৭), মো. বাবুল মিয়া (৬২৬৮), মো. ওবায়দুর রহমান (৬২৭৮), মো. শাহজাহান মিয়া (৬২৭৯), মোহাম্মদ রেজাউল করিম (৬২৮৭), মো. রকিবুল হাসান (৬২৯১), মোহা. আমিনুল ইসলাম (৬৩০৬), নাসির-উদ-দৌলা (৬৩১৮), মো. ইউনুস আলী (৬৩২০), একেএম তরিকুল আলম (৬৩২৭), মো. সাখাওয়াৎ হোসেন (৬৩২৮), মো. সলিম উল্লাহ (৬৩২৯), ব্যারিস্টার মো. গোলাম সারওয়ার ভূঁইয়া (৬৩৩২), মো. আফজালুর রহমান (৬৩৩৯), মো. শেখাবুর রহমান (৬৩৪৩), ড. মো. আব্দুল হাকিম (৬৩৫৩), আব্দুন নাসের খান (৬৩৫৪), মো. আব্দুর রহমান তরফদার (৬৩৬৬), ড. একেএম ওয়ালি উল্লাহ (৬৩৬৯), কানিজ মাওলা (৬৩৭২), মো. কামাল আতাহার হোসেন (২০২৫২), মোছা. আসপিয়া আকতার (২০২৫৪), আজিজুন নাহার (২০২৫৯), মো. ফিরোজ সরকার (৬৪১২), মো. সাইদুর রহমান খান (৬৪১৫), কেএম আলী নেওয়াজ (৬৪২২), মো. ফখরুল ইসলাম (৬৪২৬), মোহা. রায়হান কাওছার (৬৪৩২), মো. মোখতার আহমেদ (৬৪৩৯), গুল্লাল সিংহ (৬৪৬৬), মো. ফজলুর রহমান (৬৪৯৭), ড. মো. মিজানুর রহমান (৬৫০১), সুরাইয়া আখতার জাহান (৬৫০৭), মো. সাখাওয়াত হোসেন (৬৫০৯), খান মো. রেজা-উন-নবী (৬৫২২), মো. এরফানুল হক (৬৫৫৬), মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান (৬৫৬০), শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (৬৫৭১), মো. আবু সাঈদ (৬৫৭৭), মো. রাহেদ হোসেন (৬৬৪৩), মো. নুরুজ্জামান (৬৬৫৪), ড. মো. আমিনুল ইসলাম (৬৬৫৮), মো. আলমগীর হোসেন (৬৬৬৫), রাজা মো. আব্দুল হাই (৬৬৭৬), বাবর আলী মীর (৬৬৮০), ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ (৬৬৮৫), মো. আবদুল্লাহ হারুন (৬৬৯৩), মো. মনিরুজ্জামান মিয়া (৬৭০৩), মোহাম্মদ আবুল হাশেম (৬৭০৪), মু. জসীম উদ্দিন খান (৬৭০৫), খোন্দকার মো. নাজমুল হুদা শামিম (৬৭০৬), মো. মোস্তফা জামান (৬৭১৩), খলিল আহমেদ (৬৭১৮), শামীম সুলতানা (৬৭২৪), ড. মো. লুৎফর রহমান (৬৭৪১), মোহাম্মদ আবু নঈম (৬৭৪৯), এসএম হুমায়ুন কবির সরকার (৬৭৫১), মোহাম্মদ বরাদ হোসেন চৌধুরী (৬৭৬৬), মো. মানিকহার রহমান (৬৭৭০), কেএম আলী আযম (৬৮০২), মো. শামছুল আজম (৬৮০৯), মো. আব্দুর রফিক (৬৮১০), মো. লাল হোসেন (৬৮৫৪), ড. মো. গোলাম আজম (৬৮৫৭), এসএম মাসুদুল হক (৬৮৫৯), এসএম নাজিম উদ্দিন (৬৯০৩), মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (৬৯২৬), মীর আহমেদ তারিকুল ওমর (২০৩৬৫), মো. গোলাম মোছাদ্দেক (২০৩৭৯), মো. আব্দুল আখের (২০৩৮৫), ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন (১৫০০৮), মো. আব্দুল্লাহ হাক্কানী (১৫০১১), আনিসুল ইসলাম (১৫০১৩), আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল (১৫০১৮), মো. আজমল হোসেন (১৫০২০), কালা চাঁদ সিংহ (১৫০২৯), ড. মোহাম্মদ মাহে আলম (১৫০৪৪), অতীন কুমার কুন্ডু (১৫০৭৭), মো. আব্দুস সোবহান (১৫০৭৯), মো. মনিরুল আলম (১৫০৯৬), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (১৫১১৫), সৈয়দ আলী আহসান (১৫১৩৭), ড. মো. মিজানুর রহমান (১৫১৫৯), মো. রাজা মিয়া (১৫১৬৫), অভিজিৎ রায় (১৫১৮১), কংকন চাকমা (১৫১৯১), এসএম গোলাম রব্বানী (২০৪০০), ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান সেখ (২০৪০৪), মো. নজরুল ইসলাম (২০৪০৭), মো. সামছুল ইসলাম (১৫২০৭), মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী (১৫২০৮), ছাদেক আহমদ (১৫২২২), মো. লুৎফর রহমান (১৫২২৭), মো. আমিরুল ইসলাম (১৫২৩৬), মো. মাহবুব হাসান শাহীন (১৫২৩৭), মুনিরা সুলতানা (১৫২৫১), শেখ ফরিদ আহমেদ (১৫২৫৩), কাজী তোফায়েল হোসেন (১৫২৫৭), মোছা. নাজনীন সুলতানা (১৫২৬৩), এরাদুল হক (১৫২৬৫), এসএম নজরুল ইসলাম (১৫২৭৭), শাহ আলম মুকুল (১৫২৭৮), আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ খান (১৫২৮৬), ইশরাত রেজা (১৫২৯৪), মো. গিয়াস উদ্দিন (১৫৩০৩), এটিএম আবদুল্লাহেল বাকী (১৫৩০৬), মু. বিল্লাল হোসেন খান (১৫৩১১), মো. আব্দুর রহিম (১৫৩১৩), কাউসার নাসরীন (১৫৩১৭), ফারজানা সুলতানা (১৫৩১৮), গোলাম মোহাম্মেদ ভূঁইয়া (১৫৩১৯), মুহাম্মদ আব্দুস সালাম (১৫৩২৮), মুহাম্মদ কামরুল হাসান (১৫৩৩৪), আব্দুল লতিফ খান (১৫৩৪৩), এসএম সোহরাব হোসেন (১৫৩৫৪), মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁইয়া (১৫৩৬৫), মো. আব্দুর রউফ মন্ডল (১৫৩৬৭), মীর্জা মোহাম্মদ আলী রেজা (১৫৩৭০), মোহাম্মদ গোলাম আজম (১৫৩৭২), মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন (১৫৩৭৫), মো. সাজেদুর রহমান (১৫৪৮০), মো. সামসুদ্দোজা (১৫৩৮৭), মো. গাউছুল আজম (১৫৩৯১), মোহাম্মদ ইয়ামিন খান (১৫৪০১), মো. জিল্লুর রহমান (১৫৪০১), মুহাম্মদ রেহান উদ্দিন (১৫৪০৫), মো. দেলোয়ার হোসেন (১৫৪০৬), মোহাম্মদ এমরান হোসেন (১৫৪০৭), মোহাম্মদ আব্দুল হাই, বিপিএএ (১৫৪১৫), মো. আমিনুল হক (১৫৪৩০), মো. রাহেনুল ইসলাম (১৫৪৩১), বেগম নিগার সুলতানা (১৫৪৫৫), এরশাদ হোসেন খান (১৫৪৫৭), মাহবুবা আক্তার (১৫৪৫৯), খোদেজা খাতুন (১৫৪৬০), আইরীন ফারজানা (১৫৪৭৩), খন্দকার নূরুল হক (১৫৪৭৭), জানব মো. মাহমুদ হাসান (১৫৪৮৮), সুবর্ণা চাকমা (১৫৪৯১), মোহাম্মদ সাইফুর রহমান (২০৪১১), মো. রইস উদ্দিন ভূঁইয়া শাহীন (৭৮৪১), আনারুল কবির (৭৭৯৬), বেগম ওয়াহিদা সুলতানা (৭৬৯৯), ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান (৭৭০১), সৈয়দ মোস্তাক হাসান (৭৮৪২), ড. মো. দিদারুল আলম (৭৮৪৩), মীর আলমগীর হোসেন (৭৮৪৪), কাজী গোলাম তৌসিফ (৭৬৪৯), শেখ কামরুল হাসান (৭৭৯৯), মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ (৭৮৫৪), আরিফুর রহমান খান (৭৫৮৯), মো. ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ (৭৮৩৬), মোহাম্মদ রেজাউল হক (৭৯০৬), ড. এমএ মান্নান (৭৮১৫), মো. জসিম উদ্দিন (৭৮১৭), মো. আবদুর রহমান (৭৮৬৮), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৭৮৬৯), ড. মো. মুসলিম (৭৮৭২), মাহমুদুল হাসান (৭৮৭৩), ড. মো. হাবিবউল্লাহ বাহার (৭৮৭৫), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৭৭২৭), বেগম ফাতিমা তুজ জোহরা (৭৯০৭), একেএএম ফজলুল হক (৭৮২২), বেগম শাহানা জামান (৭৮২৬), এসএম তারিক (৭৮৮৬), বেগম উম্মে কুলসুম (৭৮৮৭), মো. মনির হোসেন (৭৮৮৮), সাজ্জাদ হোসেন (৭৮৮৯), মো. আহসান উল্লাহ (৭৮৯০), হাসান আহমেদ সারওয়ার (৭৮৯১), মো. এনামুল হক (৭৮৯২), মো. শামছুল আলম (৭৮৯৩), এবিএম আরিফুর রহমান (৭৮৯৫), একেএম মকসুদুল আরেফিন (৭৭৫৮), মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (৭৯০৫), মো. মাসুদ আলম (৭৭৮৮), নাসির উদ্দিন আহম্মেদ (৭৮৯৭), আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক (৭৮৯৮), মো. আছির উদ্দিন সরদার (৭৬৩৬) ও মো. রুহুল আমিন (৭৯০৮)।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম