Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কনটেইনার হ্যান্ডলিং

বৈশ্বিক তালিকায় এবারও ৬৭তম চট্টগ্রাম বন্দর

Icon

মজুমদার নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বৈশ্বিক তালিকায় এবারও ৬৭তম চট্টগ্রাম বন্দর

কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বৈশ্বিক তালিকায় আগের অবস্থানেই রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। শিপিংবিষয়ক বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংবাদ মাধ্যম লয়েড’স লিস্ট রোববার ২০২৪ সালের র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে। দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দরের অবস্থান গেল বছরের মতোই ৬৭তম।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বৈশ্বিক নানা সংকটের মধ্যেও বন্দরের অবস্থানে অবনমন ঘটেনি। এটা একটি সাফল্য। তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, যে হারে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে, তা সামাল দিতে হলে বন্দর ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নসহ সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। তৈরি করতে হবে নতুন টার্মিনাল।

লন্ডনভিত্তিক লয়েড’স লিস্ট প্রতি বছর বিশ্বের ১০০ শীর্ষ বন্দরের তালিকা প্রকাশ করে। সাধারণত প্রতি বছর কোন বন্দর কী পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে, তার ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। অন্য কোনো সূচক এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় না। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে কোন বন্দরের সক্ষমতা কত, তার একটি ধারণা এ তালিকা থেকে পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিকভাবে তা সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। ২০২৩ সালে হ্যান্ডলিং করা কনটেইনারের সংখ্যার দিক থেকে ২০২৪ সালের র‌্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে।

লয়েড’স লিস্ট বলছে, ২০২৩ সালে ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৩ টিইইউএস (২০ ফুট সমমান) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০২২ সালে করেছিল ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ টিইইউএস। অবস্থান একই থাকলেও এক বছরে হ্যান্ডলিং কমেছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এ তালিকায় প্রথম স্থান পায় ২০০৯ সালে। সে সময় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৮তম।

লয়েড’স লিস্টের তথ্য আরও জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রায় ৬৯০ মিলিয়ন টিইইউএস কনটেইনার পরিবহণ হয়েছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক আট শতাংশ বেশি। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির এত ঝড়ঝাপটার মধ্যেও যে আমরা লয়েড’স লিস্টের তালিকায় নিচে নামিনি, এটাই বড় সফলতা। যেখানে বিশ্বের অনেক বড় বড় বন্দরের অবস্থান নিচে নেমে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের সার্বিক সহযোগিতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের এখন ১৮টি গ্যান্ট্রি ক্রেন আছে। এখন আমাদের ইয়ার্ড সুবিধা বেড়েছে। এক হাজার কোটি টাকার ইকুইপমেন্ট ক্রয় প্রায় শেষের পথে। জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমেছে।

লয়েড’স লিস্টের তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ বন্দরের মধ্যে চারটিই চীনের। একটি সিঙ্গাপুরের। শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই, দুইয়ে আছে সিঙ্গাপুর বন্দর। পরের তিনটি স্থানে যথাক্রমে রয়েছে চীনের নিংবো-ঝুশান, শেনজেন ও কিংডাও।

চট্টগ্রামের বন্দরের এই অবস্থানে ব্যবসায়ীরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও তারা সক্ষমতা বাড়ানোর কথাও বলেছেন। বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন যুগান্তরকে বলেন, দেশে অনেক ইকোনমিক জোন হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। আমাদের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ১০০ মিলিয়ন ডলার। বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বন্দর ব্যবস্থাপনায় অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে। ইকুইপমেন্ট ও জাহাজের ধরন বদলে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরকেও নতুন টার্মিনাল নির্মাণ এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনার দিকে যেতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম