সচিবদের সঙ্গে বৈঠক
মন্ত্রণালয়গুলোর কাজ দ্রুত চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সব মন্ত্রণালয়ের কাজ দ্রুত চালু করার নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য সাত দিন সময় দিয়ে এখন থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তার অধীনে ২৫ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা পিএসসি থেকে বিসিএসের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ২৮ থেকে ৪২ ব্যাচের, তাদের বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে তাদের বিষয়ে প্রতিকার আসবে। এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন বা এদিন সরকারি ছুটি থাকবে কিনা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ১৫ আগস্ট আসতে মাত্র তিন দিন বাকি আছে। মাঠপর্যায়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে আপনারা কিছু ভাবছেন কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি আবারও বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। এমন কিছু যদি থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই সেটি আমরা জানতে পারব।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস তারুণ্যের শক্তির ওপর আলোকপাত করেছেন। সেখানে বলেছেন, তারুণ্যের শক্তির মাধ্যমে যে পরিবর্তন এসেছে, এর মাধ্যমে একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যেন এ সুযোগটাকে কাজে লাগাই। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যেভাবে আমরা কাজ করছিলাম তার চেয়েও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। আমরা যেন প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগের কাজগুলোকে বাস্তবায়ন করতে পারি, এ বিষয়ে তিনি সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন। মূলত যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আছে, সরাসরি আমরা কীভাবে নথি উপস্থাপন করব, কীভাবে নির্দেশনাগুলো গ্রহণ করব, মূলত এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সচিবদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
পদোন্নতি বঞ্চনা ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ১৫-১৬ বছরে যেসব বিসিএস ব্যাচে যারা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন, তাদের বিষয়গুলো সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এ বিষয়গুলোকে আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব। যারা পিএসসি থেকে বিসিএসের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ২৮ থেকে ৪২ ব্যাচের, তাদের বিষয়গুলো আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেছি। আমরা আশা করছি, মঙ্গল বা বুধবারের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রতিকার আসবে।